চট্টগ্রামে তিন শতাধিক মহিলা পুলিশকে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিএসসিআর এবং পিজিএস একাডেমিয়ার উদ্যোগে অক্টোবর মাসব্যাপী ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

কালকিনিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

পুলিশের অভিযান, ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৭২৬

শনিবার (২৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মাল্টিপারপাস হলে মহিলা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একটি সভা ও বাস্তব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার নিষ্কৃতি চাকমা।

তিনি আয়োজকদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “সময়মতো রোগ নির্ণয় করা গেলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যুহার অনেক কমানো সম্ভব।” পাশাপাশি তিনি পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.

মো. রবিউল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন, সিএসসিআর এর চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী এবং মহিলা শল্যচিকিৎসক দলের প্রধান ডা. সায়রা বানু শিউলী।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ডা. বিন্দু রানী গোপ, ডা. অন্তরা কর, সিএসসিআর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অনুষ্ঠানে ডা. সায়রা বানু শিউলীর নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, উদ্বুদ্ধকরণ ও ভিডিও প্রদর্শনী পরিচালনা করেন।

উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং সিএসসিআর ও পিজিএস একাডেমিয়ার সহযোগিতায় অক্টোবর মাসব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা, শতকরা ৫০ ভাগ ছাড়ে পরীক্ষা এবং বিনামূল্যে ব্রেস্ট সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতি শনিবার, সোমবার এবং বুধবার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সিএসসিআর হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ক্রিনিং ও কনসালটেশন চলছে। মেয়রের সুপারিশ করা ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অপারেশন কার্যক্রমও মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/রেজাউল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান

দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।

সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ