ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চলন্ত অবস্থায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইনে আধাঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো।

শনিবার (২৫ অক্টোর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কালিবাজার ও রোহা এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, “ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। রাত ১০টার দিকে কালিবাজার ও রোহা এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় পোঁছাতেই ট্রেনের শেষের বগিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ট্রেনটি দ্রুত থামানো হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।”

মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে রেলওয়ের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বিচ্ছিন্ন হওয়া বগিটিকে আধাঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংযোগ করার পর আবারও ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এরপর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/মিলন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’

গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে ফিরলেন সেই চিকিৎসক
  • ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
  • নান্দাইলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশালমিছিল
  • অশ্রুসিক্ত ক্যামেরায় সম্ভ্রমহারার ছবি