‘ডলফিন বাঁচলে নদী বাঁচবে, নদী বাঁচলে মানুষও বাঁচবে’
Published: 26th, October 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ডলফিন আমাদের নদীর সুস্থতার প্রতীক। যেখানে ডলফিন টিকে থাকে, সেখানে নদীও টিকে থাকে—আর নদী টিকে থাকলেই মানুষ বাঁচে।
তিনি আরো বলেন, “ডলফিন নিয়ে কথা বলা মানে আমাদের বেঁচে থাকার কথাই বলা। কারণ, নদীর পানি যদি দূষিত হয়, তবে তা যেমন ডলফিনের জন্য বিপদ, তেমনি মানুষের জন্যও। নদী পরিষ্কার রাখাই মানুষের ও ডলফিনের জীবনের অন্যতম শর্ত।
আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বন অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমরা নিজেরাই আমাদের নদীগুলোকে দূষিত করছি, অথচ নিজেদের সভ্য জাতি দাবি করছি—এটা পরস্পরবিরোধী। ডলফিনের সংখ্যা বাড়লে বুঝতে হবে আমরা নদী রক্ষা করছি; আর কমলে বুঝতে হবে আমরা নদীগুলোকে বিপদে ফেলেছি।”
তিনি আরো বলেন, “বন্যপ্রাণী রক্ষায় শুধু আইন নয়, মনস্তাত্ত্বিক ও আচরণগত পরিবর্তন জরুরি। যদি মানুষ নিরীহ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হয়, তা সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিফলন। এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে সমাজকে দাঁড়াতে হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “আমি আশা করি—দেশের প্রতিটি জেলায় বনবিভাগকে সহায়তা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এতে প্রাণী উদ্ধার ও সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বন সংরক্ষক মো.
অনুষ্ঠানে ‘গাঙ্গেয় ডলফিন সংরক্ষণ হ্যান্ডবুক’ এর মোড়ক উন্মোচন ও ডলফিন বিষয়ক শিক্ষামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স রক ষ ডলফ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় পার্টি সুযোগ পাওয়া মানে আওয়ামী লীগই নির্বাচনে অংশ নিল: আখতার হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ দলটির আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী জাতীয় পার্টি। এই জাতীয় পার্টি আসলে জাতীয় পার্টি নয়, জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ।
আখতার হোসেন আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখলেও জাতীয় পার্টির সুযোগ পাওয়ার অর্থ হলো, আওয়ামী লীগই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য যাঁরা বক্তব্য দিচ্ছেন, দেশবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, তাঁদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
আখতার হোসেন আরও বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়েও এক হয়েছে দলগুলো। তারপরও এখান থেকে কিছু অর্জন করা যায়নি। দেশকে এই সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে জুলাই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের প্রতিটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায়। বাধা কোথায়, সেটি খুঁজে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আখতার হোসেন। যদি কারও দলীয় স্বার্থের কারণে সনদ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সেই দলের সঙ্গে কথা বলে তাদের দলীয় স্বার্থ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে হবে বলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হতে হবে বলে মন্তব্য করেন৷
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার।
বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে চোখ হারানো শ্রমিকনেতা রুবেল হোসেন, অভ্যুত্থানে শহীদ মিরাজ হোসেনের বাবা আবদুর রব, ইমাম হাসান ভূঁইয়ার ভাই রবিউল আওয়াল ভূঁইয়া, শহীদ গোলাম নাফিজের মা নাজমা আক্তার।