শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে, এমন সিদ্ধান্ত বাতিলের পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগ্য শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এই লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের আইনজীবী।

২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ জুলাই এক স্মারকে জানায়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো.

ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ৪২ জন চলতি বছর রিটটি করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ৩ নভেম্বর হাইকোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরিচালনা নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগ্য শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে বলা হয়। এ লক্ষ্যে ১৫ দিনের মধ্যে চিঠি ইস্যু করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক লিভ টু আপিল দায়ের করেছেন বলে আজ বুধবার জানান অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চাওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।

হাইকোর্টে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরিচালনা নীতিমালা অনুসারে সব বেসরকারি অর্থাৎ বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক, রেজিস্টার্ড কিন্ডারগার্টেন, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রেজিস্টার্ড বা অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত বা স্থাপনা ও প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত চালু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে হাইকোর্টের রায়ে এসেছে। এ জন্য ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি ইস্যু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের ফলে শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই নয়, ওই সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গত সোমবার ওই লিভ টু আপিল করেন।

আরও পড়ুনসরকারির পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে: হাইকোর্ট০৩ নভেম্বর ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় অ শ ন ত ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারে পরিবারের আবেদন

রাজবাড়ীর নূরুল হক ওরফে নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বাদী ও নূরাল পাগলার শ্যালিকা শিরিন বেগম। আজ সোমবার দুপুরে তিনি গোয়ালন্দ আমলি আদালতে এ–সংক্রান্ত আবেদন করেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য ২২ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাদী ও আসামিদের মধ্যে আপস-মীমাংসা হওয়ায় শিরিন বেগম মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুনরাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার দুই মাস পর আদালতে পরিবারের মামলা১৩ নভেম্বর ২০২৫

১৩ নভেম্বর ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি করেন শিরিন বেগম। এ মামলায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, আওয়ামী লীগ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, পরিবেশবাদী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেয় ফরিদপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

মামলার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছাড়েন। স্থানীয়ভাবে মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি ১৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

আরও পড়ুনরাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় একজন নিহত০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান আসামি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আবদুল মুহিত হীরা বলেন, ‘একটি মিথ্যা মামলা থেকে আমরা বহু নিরীহ মানুষ রেহাই পেলাম। যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’

৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ বাজারে বিক্ষোভ শেষে নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় তাঁর লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন এবং গুরুতর আহত ভক্ত রাসেল মোল্লার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লা হত্যা, লুটপাট ও লাশ উত্তোলনের অভিযোগে ৮ সেপ্টেম্বর তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১২ জন। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আরেক মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুনরাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবার থমথমে, থানায় অভিযোগ দেয়নি পরিবার০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
  • লকার থেকে উদ্ধার করা সোনা শেখ হাসিনার হলফনামায় দেখানো হয়েছিল কি
  • জাতীয় নির্বাচন ও নারী: ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নে ফারাক কি ঘুচবে
  • এক বছরেও ১৭ আসামির হদিস পাচ্ছে না পুলিশ
  • এক ব্যক্তি যদি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে তিনি কর্তৃত্ববাদী হয়ে যান: ফখরুল
  • নিউমুরিং টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর: হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর
  • প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানার ও টিউলিপের মামলায় রায় ১ ডিসেম্বর
  • সাবেক আইজিপি শহীদুলের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
  • নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারে পরিবারের আবেদন