দেশীয় প্রসাধনী কোম্পানি কোহিনূর কেমিক্যালের মুনাফা দ্রুত বাড়ছে। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে হয়েছে প্রায় চার গুণ। গত পাঁচ বছরে ধারাবাহিকভাবেই বেড়েছে কোম্পানিটির মুনাফা। কোহিনূর কেমিক্যালের গত কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি টাকায়। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ১৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ৪৬ কোটি টাকা। আর সেটি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব চূড়ান্ত করা হয়। সেই আর্থিক হিসাব থেকে কোম্পানিটির মুনাফার এই চিত্র পাওয়া গেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটির মুনাফা ও আর্থিক প্রতিবেদন–সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভায় আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার পাশাপাশি শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশও ঘোষণা করা হয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের মোট ৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। শেয়ারবাজারে ২০১২ সাল থেকে কোম্পানিটির লভ্যাংশ–সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটি এ বছর বিতরণ করবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হলেও ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ হবে চলতি বছর। ঘোষিত লভ্যাংশের জন্য কোম্পানিটি রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করেছে আগামী ২০ নভেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী, ওই দিন যাঁদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে, তাঁরা ঘোষিত এই লভ্যাংশ পাবেন।

দেশের পুরোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোহিনূর কেমিক্যাল একটি। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৬ সালে এটি সাবান, টয়লেট্রিজ ও কসমেটিকস সামগ্রীর ব্যবসা শুরু করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটি সরকারের মালিকানায় চলে যায়। পরে সেটি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৯৮৮ সালে এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ওই বছরই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে স্যান্ডেলিনা ব্র্যান্ডের সাবান, তিব্বত ব্র্যান্ডের নানা প্রসাধনীসামগ্রী, ব্র্যাকট্রল সাবান, আইস কুল পাউডার, ফার্স্ট ওয়াশ ব্র্যান্ডের গুঁড়া সাবান ইত্যাদি টয়লেট্রিজ ও কসমেটিকস সামগ্রী। গত অর্থবছরের মুনাফার ও লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হলেও কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এ কারণে কোম্পানিটি গত অর্থবছরে কত টাকার ব্যবসা করেছে, সেই তথ্য জানা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে এই পূর্ণাঙ্গ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৫৭৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। আর ২০২৯-২০ অর্থবছরে ব্যবসা করেছিল ৩৯০ কোটি টাকার।

এদিকে রেকর্ড মুনাফার খবরে শেয়ারবাজারে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এদিন লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২ টাকা বেড়ে ৫৮০ টাকায় লেনদেন হয়। দুই ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রায় ৩৬ হাজার শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল দুই কোটি টাকার বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র র জন য বছর র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

এক বছরে সত্য নাদেলার আয় বেড়েছে ২১২ কোটি টাকা, কীভাবে

প্রতিবছরই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতনসহ বিভিন্ন সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে সচরাচর মূল বেতনের ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে আমরা পরিচিত। তবে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সত্য নাদেলার এক বছরে আয় বাড়ার খবর শুনে চমকে যেতেই হবে। ২০২৫ অর্থবছরে গত বছরের তুলনায় সত্য নাদেলার আয় বেড়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার বা ২১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২২ টাকা ধরে)।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মাইক্রোসফট থেকে বেতন, বোনাস, শেয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা পেয়ে থাকেন সত্য নাদেলা। সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিভিন্ন পণ্য ও সেবা উন্মুক্ত করায় মাইক্রোসফটের শেয়ারের মূল্য ২৩ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারের দাম বাড়ায় সত্য নাদেলার আয়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। ২০২৫ অর্থবছরে মাইক্রোসফটের কাছে থেকে সত্য নাদেলা মোট আয় করেছেন ৯ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, যা আগের বছর ছিল ৭ কোটি ৯১ লাখ ডলার। ফলে এক বছরে সত্য নাদেলার আয় বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, ২০২৫ অর্থবছরে সত্য নাদেলার আয়ের ৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি শেয়ার ও ৯৫ লাখ ডলারের বেশি নগদ প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সত্য নাদেলার বেতন বৃদ্ধি মূলত মাইক্রোসফটের শেয়ারের সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত। গত তিন বছরে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে।

আরও পড়ুনকয়েক মিনিটেই ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ পডকাস্ট যেভাবে শোনেন সত্য নাদেলা২১ মে ২০২৫

ভারতের হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করা সত্য নাদেলা মণিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ১৯৮৮ সালে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং উইসকনসিন-মিলওয়াকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে ১৯৯০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে মাইক্রোসফটে যোগ দেওয়ার আগে সত্য নাদেলা সান মাইক্রোসিস্টেমসে কাজ করতেন।

সূত্র: সিএনবিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিয়েতনাম ‘মিরাকল’ থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা
  • ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে নাগরিক সেবা কেন্দ্র চালু হবে: ভূমি সচিব
  • ব্যবসা বেড়েছে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের
  • জুলাই সনদে ‘জুলাই’ কোথায়
  • কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তিতে ধস: সরকারি নীতির প্রভাবে বছরে কমল ৪৩ শতাংশ
  • দেড় বছর পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল গমের জাহাজ
  • রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসনীয়: আইএমএফ
  • ঢাকার মানুষের মাথাপিছু আয় ৫১৬৩ ডলার
  • এক বছরে সত্য নাদেলার আয় বেড়েছে ২১২ কোটি টাকা, কীভাবে