চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার একটি মন্দিরের মূর্তির মুকুট থেকে চুরি হওয়া সোনা ৪০ দিন পর উদ্ধার হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া সোনা উদ্ধার করে লোহাগাড়া থানা-পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বড় হাতিয়া ইউনিয়নের শ্রীশ্রী লোকনাথ আশ্রমের বিগ্রহের মাথায় থাকা মুকুট থেকে দুই ভরি ওজনের সোনা চুরি হয়। এ ঘটনায় মামলার পর ১৮ অক্টোবর কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঘোনার পাড় এলাকা থেকে পিন্টু ধরকে (২৭) তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার পিন্টু ওই এলাকার কালু কুমার ধরের ছেলে এবং মামলার একমাত্র আসামি।

লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পিন্টু ধর একজন পেশাদার চোর। তিনি মন্দিরে মন্দিরে চুরি করে বেড়ান। তাঁর নামে লোহাগাড়া ও রামু থানায় আগে থেকেই দুটি চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর পিন্টুকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চুরি হওয়া সোনা চট্টগ্রাম মহানগর থেকে গলানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে পিন্টুকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন দ র উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন

২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নিখোঁজ তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রদল। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির নেতারাও সংহতি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম রাসেল, আসাদুজ্জামান রানা ও আল-আমিনকে নিখোঁজের ১১ বছর পরও উদ্ধার করা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-খুন, পেটোয়া বাহিনীর হামলা ও নির্যাতন ছিল নিয়মিত ঘটনা।”

আরো পড়ুন:

ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই

বিশ্বজিৎ হত্যার দৃশ্যচিত্র আজো দেশের মানুষকে কাঁদায়: অধ্যাপক রইছ

বক্তারা সব নিখোঁজ নাগরিকের সন্ধান নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জবির ছাত্রদল সমর্থিত জাকসুর প্যানেলের জিএস প্রার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাদিজাতুল কোবরা বলেন, “আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বহু মানুষ গুম হয়েছে। স্বাধীন দেশে ভাইদের খুঁজতে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়, এটাই আমাদের বেদনা। আমরা এমন দেশ চাই যেখানে কেউ গুম হবে না এবং সবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে বহু বিএনপি নেতা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। ছাত্রলীগের হাতে বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমাদের অনেকে ফিরে এলেও জবির তিন ভাইকে এখনো পাইনি। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করছি। গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।”

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ্ উদ্দিন বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম-খুন ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। জুলাই আন্দোলনের পরও অনেকের সন্ধান পাইনি। জবির তিন ছাত্রদল নেতা, আমার কাজিন ইলিয়াস আলীসহ বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। প্রতি ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করি, পরদিন ভুলে যাই-এটাই দুঃখজনক।”

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো জবিতে এখনো হয়নি। আমরা চাই, জবি থেকে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।”

ঢাকা/লিমন/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ