পুরুষদের ইগো সামলানো আসল চ্যালেঞ্জ ছিল: জাহ্নবী
Published: 26th, October 2025 GMT
প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ও প্রযোজক-অভিনেতা বনি কাপুর দম্পতির বড় কন্যা জাহ্নবী কাপুর। বলিউডে পা রেখে এরই মধ্যে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গিয়ে তাকেও বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
অভিনেত্রী কাজল ও টুইঙ্কল খান্না সঞ্চালিত অনুষ্ঠান ‘টু মাচ’। কয়েক দিন আগে এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জাহ্নবী কাপুর। এ আলাপচারিতায় জাহ্নবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গিয়ে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন?
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?
বরেণ্য অভিনেতা সতীশ শাহ মারা গেছেন
এ প্রশ্নের জবাবে জাহ্নবী কাপুর বলেন, “আমি এটা বুঝি যে, একধরনের সুবিধাজনক অবস্থান থেকে কর্মজীবনে এসেছি। কিন্তু আমার আসল চ্যালেঞ্জ ছিল—পুরুষদের অহংবোধ, তাদের ইগো সামলানো।”
জাহ্নবী কাপুর এমন একটি অবস্থানে আছেন, যেখান থেকে নিজের কথা নির্ভয়ে বলতে পারেন। এ তথ্য উল্লেখ করে জাহ্নবী কাপুর বলেন, “কিন্তু আমি এমন ঘরেও থেকেছি, এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, যেখানে আমাকে অন্যদের চেয়ে নিজেকে কম বুদ্ধিমান বা ‘বোকার মতো’ সাজিয়ে উপস্থাপন করতে হয়েছে।”
“আপনার লড়াই আপনাকেই করতে হবে। তবে আপনার বক্তব্য এমন কৌশলে প্রকাশ করুন, যাতে আপনার বক্তব্য ভুলভাবে কাউকে আঘাত না করে।” বলেন জাহ্নবী কাপুর।
‘ধড়ক’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন জাহ্নবী। এরপর ‘রুহি’, ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’, ‘ঘোস্ট স্টোরিজ’, ‘পরম সুন্দরী’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। দক্ষিণী সিনেমায়ও অভিষেক হয়েছে তার। ‘দেবারা’ শিরোনামের এ সিনেমায় নায়ক হিসেবে পেয়েছেন জুনিয়র এনটিআরকে।
জাহ্নবী কাপুর অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী’। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন বরুণ ধাওয়ান। জাহ্নবীর পরবর্তী সিনেমা ‘পেদ্দি’। সিনেমাটিতে রাম চরণের বিপরীতে অভিনয় করছেন এই অভিনেত্রী। তেলেগু ভাষার এ সিনেমা পরিচালনা করছেন বুচি বাবু সানা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ২৭ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ নব ক প র চলচ চ ত র জ হ নব
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ নাগরিক কোয়ালিশন।
আজ শনিবার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায়।
ওসমান হাদির ওপর দুর্বৃত্তের গুলির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতিতে নাগরিক কোয়ালিশন বলেছে, এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি আঘাত। ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে ও রাজনীতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা। রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে প্রভাবশালী শীর্ষ নেতাদের ওপর এ ধরনের ‘অ্যাসাসিনেশন’ প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে যেমন ব্যাহত করে, একই ভাবে দেশের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাগরিক কোয়ালিশন মনে করে, এই আক্রমণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ওসমান হাদির মতো আরও অনেক সামনের সারির তরুণ-তরুণী জুলাই যোদ্ধাদের জীবন কী পরিমাণ ঝুঁকিতে আছে! রাষ্ট্র জুলাই যোদ্ধাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংগঠনটি মনে করে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো তৈরি করে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করতে রাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক বছরে শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী হত্যার ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অধিকাংশ ক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
নাগরিক কোয়ালিশন আরও বলেছে, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। নাগরিক সমাজ সরকারকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপদে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ রকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্য সরকারসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।