ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীর এমএস ডাইং, প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং ও ফেয়ার এ্যাপারেলস কারখানার মধ্যবর্তী আরএমএস (গ্যাস চেম্বার রুমে) বিস্ফোরণে গ্যাসের কাজে নিয়োজিত ছয় শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কারখানাটির শ্রমিক আল আমিন (৩০), আজিজুল্লা (৩২), সেলিম (৩৫), জালাল মোল্লা (৪০), নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।

রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। 

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদেরকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দগ্ধদের মধ্যে জালাল মোল্লার শরীরে ১৪ শতাংশ, আজিজুলে ৯ শতাংশ, নাজমুলের ২৮, সেলিম মিয়ার ১০ শতাংশ  আল আমিনের ১৭ ও নুর মোহাম্মদের শরীরে ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ২ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে, তারা আইসিউতে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এমএস ডাইং ও ফেয়ার এ্যাপারেলস কারখানার গ্যাসের চেম্বার রুমের সংস্কার কাজ করছিল গ্যাস ঠিকাদার। কাজ করার সময় গ্যাসের লাইন বন্ধ না করে গ্র্যান্ডিং মেশিন দিয়ে  লোহার পাইপ কাটার সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে বিস্ফোরণ ঘটে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গ্যাস চেম্বার রুম।

এ সময় শ্রমিকরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে চেম্বার আর এস রুমের সামনে পাইপের ঝালাই দেওয়া কাজ করা শ্রমিকরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ এম্বুলেন্স ডেকে এনে দ্রুত তাদের ঢাকা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেই রুমে গ্যাস লাইন থেকে বিকট একটি বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। এতে তাদের ৬ জনের শরীর ঝলসে যায়। 

ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আব্দুল হালিম জানান, ডাইংয়ের গ্যাসের আরএমএস রুমে থাকা গ্যাসে স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজন এম এস ডাইংয়ের এবং একজন ফেয়ার এপারেলস নামের পাশের আরেকটি কারখানার শ্রমিক।

ফায়ার সার্ভিস ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে বলে জানান তারা।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানার গ্যাস মিটার রুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিক শিল্পাঞ্চলের দুটি পোশাক কারখানার যৌথ ‘গ্যাস মিটার রুমে’ বিস্ফোরণের পর আগুনে অন্তত ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁরা বর্তমানে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিসিকের এমএস ডাইং, প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড এবং ফেয়ার অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা ভবনের মাঝখানে অবস্থিত যৌথ মিটার রুমে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিসিক স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন আল-আমিন (৩০), মো. আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) ও নূর মোহাম্মদ (৩৫)।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। নাজমুল হুদার শরীরের ২৮ শতাংশ, জালাল মোল্লার ১৪ শতাংশ, আজিজুল্লাহর ৯ শতাংশ, সেলিমের ১০ শতাংশ, আল-আমিনের ১৭ শতাংশ এবং নূর মোহাম্মদের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে নাজমুল ও আল-আমিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

দগ্ধ শ্রমিক মো. সেলিম বলেন, ‘সকালে কারখানার নিচতলায় তিতাস গ্যাসের মিটার কক্ষে কাজ করার সময় গ্যাসলাইনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমরা ছয়জন দগ্ধ হই। পরে কারখানার অন্য শ্রমিকেরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।’

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এমএস ডাই অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড নামে একটি কারখানায় সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে কারখানার গ্যাস মিটার রুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
  • পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে নিয়োগ, নবম গ্রেডে চাকরি পেতে করুন আবেদন