তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন নিউজ পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’

রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে নিজের মন্ত্রণালয়ের সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।

আরো পড়ুন:

ঐক্যের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই: ফখরুল

সাংবাদিক হেনস্তা: একজনকে শাস্তি দিল বিএনপি

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরে শেষ হয়ে যাবে উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’’

বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তারা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।”

মাহফুজ আলম বলেন, ‘‘পুরাতন বন্দোবস্তের লোকরা, পুরাতন মিডিয়া হাউজ যারা আছে, বড় বড় হাউজ; তারা চায় না বাংলাদেশে কোনো বিকল্প গণমাধ্যম আসুক। আমি নতুন প্রজন্মের লোক, আমি মিডিয়া দিয়ে যাব। মিডিয়া দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা নীতিমালা অনুসরণ করে দিচ্ছি।’’

নতুন গণমাধ্যম দেওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বিভিন্ন অপ-উদ্যোগের কারণে যদি আমাকে সরে যেতে হয়, তাতেও নতুন গণমাধ্যম দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। এখানে ফ্রেশ ব্লাড, ফ্রেশ পার্সপেক্টিভের দরকার আছে।’’

ওটিটি নিয়ে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কথা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কনটেন্ট নির্মাণ করলে সেটা তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়। আর ডিজিটাল প্লাটফর্মে পাবলিশড করলে সেটা আইসিটি বিভাগের দেখভালে চলে যাবে। অনলাইন প্লাটফর্মে যে কনটেন্ট আসে, সেগুলোকে রেগুলেট করার চেষ্টা করছি। ইউটিউবে কোনো কনটেন্ট পাবলিশ করলে সেটা যদি আয় করে, তাহলে সেটাকে রেগুলেশনের আওতায় আনা হবে।”

ঢাকা/রায়হান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পরিচয় মিলছে না পাবনা জেনারেল হাসপাতালের এক নির্বাক নারীর

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক অজ্ঞাতনামা নারী। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই নারী কথা বলতে না পারায় মিলছে না তার নাম-পরিচয়। তাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই নারী। সালোয়ার-কামিজ পড়া নারীটির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। গায়ের রঙ ফর্সা। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিবাহিত। তার কোন আত্মীয়-স্বজন তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে গেছে। তারপর থেকে হাসপাতালের ইনএনটি বিভাগে ভর্তি আছেন তিনি।

পাবনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্যরা বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তাকে হাসপাতালে দেখতে পান। তার খোঁজখবর নিয়ে নাম পরিচয় ঠিকানা জানার চেষ্টা করে। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি কোনো কথা বলছেন না। কাগজে কিছু একটা লিখে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেটাও সম্পূর্ণ লিখতে পারেননি। তার হাতের লেখা ও সুন্দর। 

সংগঠনের মডারেটর কাওসার হোসেন বলেন, “তিনি কিছু খাচ্ছেন না, কারো সাথে কোন কথা বলছেন না। তার চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভাল কোন ফ্যামিলির মেয়ে তিনি ভাল পরিবারের মেয়ে। তার উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর কারণে তিনি শারীরিক মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে আছেন। কিন্তু মানসিক বিপর্যস্ত দেখে হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করার। কিন্তু তার নাম-পরিচয়-ঠিকানা না জানার কারণে সেখানেও ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।” 

এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার রফিকুল হাসান বলেন, “আমি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের বলেছি তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। তার শারীরিক যে কোন চিকিৎসা আমরা দিব। কিন্তু তার যদি মানসিক সমস্যা থাকে তাহলে সেই চিকিৎসা তো আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। তখন তো তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। রোগীর কিছু হলে এর দায়ভার কে নেবে বলেন? প্রশাসনের সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায়।”

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মডারেটর কাওসার হোসেন সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অবস্থায় তরুণীটির নাম পরিচয় জানা জরুরি। ছবির এই মেয়েটিকে যদি কেউ চিনে থাকেন তাহলে যোগাযোগ করুন। আপনাদের সহযোগিতায় মেয়েটি নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর: ০১৭৮৮-২১১২৫৬।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ