সভাপতির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৪ শিক্ষার্থী
Published: 26th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে টানা চারদিন ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে এক আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো রকম আশ্বাস না পাওয়ায় আমরণ অনশনে বসেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
শপথ নিলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা
রাবিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২০ নভেম্বর
প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রাইসুল মাহমুদ। এ ঘোষণার পর অনশনে যোগ দেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন, ইকরা, সাদিক ও সুমন।
এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’, ‘এক দুই তিন চার, চেয়ারম্যান তুই গদি ছাড়’, ‘বহিরাগত চেয়ারম্যান মানি না, মানবো না’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্য নিপাত যাক, সিন্ডিকেট মুক্তি পাক’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ক্লিনিক্যালের বাংলায় সাইকোলজির ঠাঁই নাই’, ‘ডিপার্টমেন্টে রাজনীতি চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
শিক্ষার্থী রাইসুল বলেন, “আমাদের এক দফা দাবি ছিল, বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। আমাদের দাবি, বিভাগ থেকেই সভাপতি করতে হবে। আমরা আজ প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম কিন্তু তারা বহিরাগত চেয়ারম্যানকে বহাল রাখতে চায়। তাই আমরা আজ থেকে অনশনে বসছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।”
বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, “আমরা আজ প্রশাসনের সঙ্গে বসে ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো আশ্বাস দেয়নি। তারা আরো সময় চেয়েছেন। তারা আমাদের বলেছে, বর্তমান সভাপতি সঙ্গে নিগোশিয়েট করে তাকে মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা তাকে চাই না। যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না, এজন্য তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অনশন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট নিরসনের দাবিতে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা
অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেশনজট নিরসনের দাবিতে অনশনের বসেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা। তারা সেমিস্টারের মেয়াদকাল সর্বসাকুল্যে ৪ মাস করার দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
আরো পড়ুন:
‘কাশির সূত্র ধরে’ খাদ্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ৩
ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়: প্রধান বিচারপতি
এ সময় তারা হাতে থাকা প্লাকার্ডে ‘মোদের দাবি একটাই চার মাসে সেমিস্টার চাই’, ‘ডিগ্রি নিতে ১০ বছর চাকরি নিব কোন বছর’, ‘এক দফা এক দাবি ৪ মাসে সেমিস্টার দিবি’, ‘সেশনজটে পুড়ছে প্রাণ এবার চাই সমাধান’ ইত্যাদি লেখা দেখা যায়।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। আলোচনায় শেষে বিকেল ৪টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. নাঈম মিয়া বলেন, “ভেটেরিনারি অনুষদের সেশনজট নিরসনে সেমিস্টার সময়কাল ৪ মাসে করার জন্য গত ১২ অক্টোবর আমরা উপাচার্য স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেই। পরবর্তীতে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমরা জানাই ২৪ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে ২৫ তারিখ থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছি।”
দুপুরের পর উপাচার্যের সঙ্গে হওয়া আলোচনায় তাদের দাবি না মানায় আমরণ অনশন শুরু করেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “আমরা তাদের দাবির প্রতি যথেষ্ঠ নমনীয়। আমরা প্রায় ২ ঘন্টা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সবকিছু তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা ভাবতে পারিনি তারা অনশনে বসবে।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে যথাযথ আইন মেনে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।”
এর আগে, গত ১২ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেশনজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সময়সীমা বেধে দেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী