ল্যুভরে অলংকার চুরির ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার
Published: 27th, October 2025 GMT
প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘর থেকে দামি অলংকার চুরির ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরাসি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
প্যারিসের প্রসিকিউটর কার্যালয় জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তিকে শার্ল দ্য গল বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তি বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
গত ১৯ অক্টোবর দিনের বেলায় চারজন ডাকাত বৈদ্যুতিক কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী সমৃদ্ধ জাদুঘরটিতে প্রবেশ করে। তারা সেখান থেকে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ইউরো বা ১০২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের গয়না নিয়ে যায়।
প্রসিকিউটর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের একজন আলজেরিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আরেকজন যাচ্ছিলেন মালিতে। পুলিশের বিশেষায়িত দল, তাঁদের সর্বোচ্চ ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে রাখতে পারবে।
আরও পড়ুনল্যুভর জাদুঘরে শ্রমিকের বেশে ঢুকে ৪ মিনিটেই কাজ সেরে ফেলে চোরের দল২০ অক্টোবর ২০২৫রোববার ফরাসি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরির ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ডিএনএ নমুনার সূত্র ধরেই এক সন্দেহভাজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ডাকাতেরা গ্লাভস ও জ্যাকেটসহ কিছু জিনিস ফেলে গিয়েছিল ।
ফ্রান্স সরকার ও জাদুঘরের কর্মকর্তারা বলেছেন, রোববার জাদুঘর খোলার কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন অনুপ্রবেশকারী একটি জানালার ভেতর দিয়ে অ্যাপোলো গ্যালারিতে ঢোকেন। এ জন্য তাঁরা আসবাব তোলার একটি মই ব্যবহার করেন।
মাত্র চার মিনিটের মধ্যে চোরের দল জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করে নেপোলিয়ন যুগের আটটি মূল্যবান রত্নালংকার নিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ দ ঘর
এছাড়াও পড়ুন:
পরিচয় মিলছে না পাবনা জেনারেল হাসপাতালের এক নির্বাক নারীর
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক অজ্ঞাতনামা নারী। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই নারী কথা বলতে না পারায় মিলছে না তার নাম-পরিচয়। তাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই নারী। সালোয়ার-কামিজ পড়া নারীটির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। গায়ের রঙ ফর্সা। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিবাহিত। তার কোন আত্মীয়-স্বজন তাকে হাসপাতালে ফেলে চলে গেছে। তারপর থেকে হাসপাতালের ইনএনটি বিভাগে ভর্তি আছেন তিনি।
পাবনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সদস্যরা বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তাকে হাসপাতালে দেখতে পান। তার খোঁজখবর নিয়ে নাম পরিচয় ঠিকানা জানার চেষ্টা করে। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি কোনো কথা বলছেন না। কাগজে কিছু একটা লিখে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সেটাও সম্পূর্ণ লিখতে পারেননি। তার হাতের লেখা ও সুন্দর।
সংগঠনের মডারেটর কাওসার হোসেন বলেন, “তিনি কিছু খাচ্ছেন না, কারো সাথে কোন কথা বলছেন না। তার চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভাল কোন ফ্যামিলির মেয়ে তিনি ভাল পরিবারের মেয়ে। তার উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর কারণে তিনি শারীরিক মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে আছেন। কিন্তু মানসিক বিপর্যস্ত দেখে হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করার। কিন্তু তার নাম-পরিচয়-ঠিকানা না জানার কারণে সেখানেও ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।”
এ বিষয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার রফিকুল হাসান বলেন, “আমি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের বলেছি তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। তার শারীরিক যে কোন চিকিৎসা আমরা দিব। কিন্তু তার যদি মানসিক সমস্যা থাকে তাহলে সেই চিকিৎসা তো আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। তখন তো তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। রোগীর কিছু হলে এর দায়ভার কে নেবে বলেন? প্রশাসনের সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায়।”
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মডারেটর কাওসার হোসেন সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অবস্থায় তরুণীটির নাম পরিচয় জানা জরুরি। ছবির এই মেয়েটিকে যদি কেউ চিনে থাকেন তাহলে যোগাযোগ করুন। আপনাদের সহযোগিতায় মেয়েটি নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর: ০১৭৮৮-২১১২৫৬।”
ঢাকা/শাহীন/এস