পছন্দের ঠিকাদার কাজ পায়নি, পৌরসভা কার্যালয়ে ঢুকে প্রকৌশলীকে শাসালেন বিএনপি নেতা
Published: 28th, October 2025 GMT
পছন্দের এক ঠিকাদার পৌনে ২৯ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার প্রকল্পের কাজ না পাওয়ায় ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে ফেনী পৌরসভা ভবনের প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তের নাম কামরুল হাসান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তাঁর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া অন্য ঠিকাদারের হয়েও কাজ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘নোডাল সিটি প্রকল্প’-এর আওতায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নকাজে ২৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মূল্যায়নে প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (পিডিএল) সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজের জন্য নির্বাচিত হয়। গতকাল রাতে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার চুক্তি সম্পন্ন হয়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন বলেন, চুক্তির বিষয়টি জেনে কামরুল হাসান রাতে তাঁর কক্ষে প্রবেশ করেন। অন্য একটি প্রতিষ্ঠান কাজ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে গালাগাল করেন ও হুমকি দেন।
জাকির উদ্দিন বলেন, ‘তিনি আমাকে একটি নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে চাপ দিয়েছেন। অফিসে এসে ল্যাপটপ ও ফাইলপত্র তছনছ করেন তিনি। আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কে তোকে স্বাক্ষর করতে বলছে, তোর হাত কেটে নেব।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার তর্ক হয়েছিল অন্য বিষয়ে। তিনি আমার কিছু কাজের বিল পরিশোধ না করে কমিশন দাবি করে আসছেন। তাঁকে লাঞ্ছনার অভিযোগ সত্য নয়।’
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো.
জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামছুজ্জামান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি দলীয়ভাবে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রসভ র প রক শ ন বল ন ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
পছন্দের ঠিকাদার কাজ পায়নি, পৌরসভা কার্যালয়ে ঢুকে প্রকৌশলীকে শাসালেন বিএনপি নেতা
পছন্দের এক ঠিকাদার পৌনে ২৯ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার প্রকল্পের কাজ না পাওয়ায় ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাতে ফেনী পৌরসভা ভবনের প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তের নাম কামরুল হাসান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তাঁর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া অন্য ঠিকাদারের হয়েও কাজ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘নোডাল সিটি প্রকল্প’-এর আওতায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নকাজে ২৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মূল্যায়নে প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (পিডিএল) সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজের জন্য নির্বাচিত হয়। গতকাল রাতে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার চুক্তি সম্পন্ন হয়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন বলেন, চুক্তির বিষয়টি জেনে কামরুল হাসান রাতে তাঁর কক্ষে প্রবেশ করেন। অন্য একটি প্রতিষ্ঠান কাজ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে গালাগাল করেন ও হুমকি দেন।
জাকির উদ্দিন বলেন, ‘তিনি আমাকে একটি নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে চাপ দিয়েছেন। অফিসে এসে ল্যাপটপ ও ফাইলপত্র তছনছ করেন তিনি। আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, কে তোকে স্বাক্ষর করতে বলছে, তোর হাত কেটে নেব।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার তর্ক হয়েছিল অন্য বিষয়ে। তিনি আমার কিছু কাজের বিল পরিশোধ না করে কমিশন দাবি করে আসছেন। তাঁকে লাঞ্ছনার অভিযোগ সত্য নয়।’
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর পুলিশকে জানানো হয়েছে। কামরুল হাসান দরপত্রে একটি পক্ষের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন, কাজ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিশন দাবির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামছুজ্জামান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি দলীয়ভাবে গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।