ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির ছয় ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।

মৃত হুসেন বানু (৬৩) গাজীপুরের শ্রীপুরের লোহাগাছা এলাকার বাসিন্দা। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের সহকারী ফোকাল পারসন মোস্তফা ফয়সাল রাহাত বলেন, ওই রোগী এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

হাসপাতাল প্রশাসনের তথ্যমতে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৮৪ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সকাল ৭টা থেকে আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত) ৩৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ, ২১ জন নারী ও ৪ জন শিশু।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আজ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে মোট ১ হাজার ৩৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ জন। জানুয়ারিতে একজন, সেপ্টেম্বরে ৫ জন এবং চলতি অক্টোবর মাসে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এই বছরের মধ্যে চলতি অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন—মোট ৬৬০ জন। হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ২৪টি শয্যা থাকলেও আজ সকাল পর্যন্ত সেখানে ভর্তি আছেন ৮৪ জন রোগী।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’

গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে ফিরলেন সেই চিকিৎসক
  • ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
  • নান্দাইলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশালমিছিল
  • অশ্রুসিক্ত ক্যামেরায় সম্ভ্রমহারার ছবি