সরকারি স্কুলে ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবি মানববন্ধন
Published: 28th, October 2025 GMT
সরকারি স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী বাছাইয়ে লটারি প্রথা বাতিল করে পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে ভর্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহসড়কে মানববন্ধনে বিভিন্ন কিন্টারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অংশ নেয়।
আরো পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের শেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত, সুপারিশ পেশ মঙ্গলবার
প্রশাসন পক্ষপাত করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড় জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ইয়াসিনুল হক দুলাল, জেলা কিন্ডারগার্টেন ও শিক্ষক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোয়েব আলী সবুজ, লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক শামসুজ্জামান বিপ্লব, সানসাইন ইংলিশ গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ বাকের হোসেন, হান্নান শেখ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইুফুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ের এই কালো আইনের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো মানের স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। তাদের পরিবার-পরিজন রেখে অল্প বয়সে দূরে গিয়ে পড়তে হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়। এতে লেখাপড়ার ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি মেধা বিকশিত হতে পারছে না।’’
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং সচেতন অভিভাবকরা মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে