অন্যান্য দিনের মতোই আজ মঙ্গলবার দুপুরে নদীতে জাল ফেলেছিলেন পাঁচ জেলে। তবে দিনটা ছিল ব্যতিক্রম। নদী থেকে জাল তুলতেই তাঁরা দেখেন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ওজনে যা পুরো ৬০ মণ।

আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে এ ঘটনা ঘটে। যে জালটিতে মাছ ধরা পড়েছে, এটি ছিল জেলে মোহাম্মদ ঈমান হোসেনের। তিনি টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা। ধরা পড়া এসব ইলিশ স্থানীয় কায়ুকখালীয়া বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দাম পড়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।

স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জালটি ১০০ থেকে ১৫০ ফুট লম্বা ছিল। সাগরে জোয়ার শুরু হলে পাঁচজন মাঝি মিলে নৌকা দিয়ে নাফ নদীতে জালটি ফেলে আসেন। এরপর সন্ধ্যার দিকে ভাটা শুরু হলে জাল তোলার কাজ শুরু হয়। দুই পাশে ১২ জন জেলে কোমরে রশি বেঁধে এ জাল টেনে পাড়ে তোলেন। সেখান থেকে বিভিন্ন বাহনে মাছ ফিশারিঘাটে নিয়েছেন তাঁরা।

টেকনাফের কায়ুকখালীয়া খালের হাকিম ফিশারিজের পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুপুরে জাল ফেলার পর সন্ধ্যায় তোলা হয়। এরপর স্থানীয় বাজারে আনা হয় মাছগুলো। প্রতিটি ইলিশ মাছের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ মাছগুলো কিনেছেন।

পরে ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ বলেন, প্রতি কেজি ইলিশ তিনি ৬০০ টাকায় কিনেছেন। সব মিলিয়ে দাম দিয়েছেন ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এরপর এসব ইলিশ তিনি বরফ দিয়ে রেখেছেন। আগামীকাল এসব চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। সেখানে ভালো দামে বিক্রি করবেন বলে তাঁর আশা।

জানতে চাইলে উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো.

দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত শনিবার মধ্যরাতে ২২ দিনের ইলিশ প্রজনন মৌসমের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা কোনো ধরনের মাছ শিকার করতে নাফ নদী ও সাগরে নামেননি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই এক জেলের জালে হঠাৎ প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার খবর শুনেছি।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ঘিরে তরুণকে খুন করে দেহ টুকরা টুকরা করলেন বন্ধু

ভারতের গুজরাট রাজ্যের ২০ বছর বয়সী এক তরুণ ছয় দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। সম্প্রতি পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, এক নারীকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার জেরে ওই তরুণের বন্ধুই তাঁকে হত্যা করেছেন। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, দেহটি টুকরা টুকরা করে ফেলেছিলেন।

২ ডিসেম্বর রমেশ মহেশ্বরী গুজরাটের মহেশ্বরী নখত্রানার মুরু গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন। এরপর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করে পুলিশ। এরপর ওই তরুণের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়।

তদন্ত করতে গিয়ে রমেশের বন্ধু কিশোরের ওপর সন্দেহ বাড়তে থাকে পুলিশের। একপর্যায়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিশোরকে আটক করে।

এই মামলার সঙ্গে এক কিশোরেরও সংশ্লিষ্টতা ছিল। ওই কিশোরের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিশোর স্বীকার   করেন, তাঁদের দুজনের পরিচিত এক নারীকে নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিনি রমেশকে খুন করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, কিশোর ওই নারীকে ইনস্টাগ্রামে বার্তা পাঠিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। ওই নারী রমেশকে এ কথা জানালে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিশোর রমেশকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে কিশোর তাদের জানিয়েছেন, তিনি রমেশকে তাদের এলাকার বাইরে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে খুন করেন। তারপর একটি ছুরি দিয়ে তাঁর মাথা, হাত ও পা কেটে আলাদা করে ফেলেন। এরপর রমেশের দেহের টুকরাগুলো একটি গভীর কুয়োর মধ্যে ফেলে দেন। আর বাকি দেহটি কাছাকাছি এক জায়গায় মাটিচাপা দেন।

কিশোরের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নখত্রানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন গত সোমবার ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে তারা মাটিচাপা দেওয়া দেহটি উদ্ধার করে। পরে কুয়া থেকে টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া দেশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর
  • হাদিকে গুলি: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
  • রণবীরের হাঁটুর বয়সি নায়িকা সারাকে কতটা জানেন?
  • শত বছরের পুরোনো বিমানবন্দরে হচ্ছে ৩ হাজার কোটি ডলারের শহর
  • চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা কেটেছে
  • ‘এরপর তাঁর পালা’: কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেত্রোকে ট্রাম্পের হুমকি
  • ৮ ম্যাচে মাত্র ২ জয় রিয়ালের, চাকরি হারানোর শঙ্কার মুখেও ‘ইতিবাচক’ আলোনসো
  • সাজিদকে উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ
  • নির্বাচন করব, পদত্যাগের বিষয়ে যথাসময়ে জানবেন: আসিফ মাহমুদ
  • নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ঘিরে তরুণকে খুন করে দেহ টুকরা টুকরা করলেন বন্ধু