বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস আসর ‘মিস ইউনিভার্স’। ১২০টি দেশ নিয়ে থাইল্যান্ডে বসেছিল এ প্রতিযোগিতার ৭৪তম আসর। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় থাইল্যান্ডের ননথাবুরির পাক ক্রেতের ইমপ্যাক্ট চ্যালেঞ্জার হলে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেন মেক্সিকোর ফাতিমা বোস। 

মিস ইউনিভার্সের আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথমবারের মতো আশা জাগান মিথিলা। বিশ্বমঞ্চে তার পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হন দেশবাসী। বিশেষ করে শোবিজ অঙ্গনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। যদিও তার সুইমিং কস্টিউম নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। অন্তর্জালে তাকে নিয়ে দেশের মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য আহত করেছিল এই অভিনেত্রীকে। তারপরও থেমে থাকেননি মিথিলা। স্বপ্নপূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিজয়ের লক্ষ্যে হাঁটতে থাকেন।   

আরো পড়ুন:

‘মিস ইউনিভার্স’ বিজয়ী ফাতিমা

গুরুতর অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্সের দুই বিচারকের পদত্যাগ

দেশের মানুষের সমালোচনা একপাশে রেখে ‘ক্লোজ ডোর ইন্টারভিউ’ সেশনে ভালো পারফর্ম করেন মিথিলা। বিদেশি সাংবাদিকেরাও মিথিলার সঙ্গে কথা বলার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তারা ‘স্ট্রং কন্টেস্ট্যান্ট’ হিসেবে মিথিলার নাম সামনে আনেন। আর সেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। মিস ইউনিভার্সের আসরে অনেকগুলো বিভাগে পারফর্ম করতে হয় প্রতিযোগীদের। গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ইভনিং গাউন, ন্যাশনাল কস্টিউম, বিকিনি রাউন্ড। এসব বিভাগেও ভালো পারফর্ম করেন মিথিলা। 

অনলাইন ভোটিংয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেন মিথিলা। তবে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি। তবে বিভিন্ন বিভাগে আলাদা ভোটে কখনো প্রথম, কখনো দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন। নিয়ম হলো—অনলাইন ভোটে যে শীর্ষে থাকেন, সে সরাসরি সেরা ত্রিশে জায়গা করে নিতে পারেন। অনলাইন ভোটে ফিলিপাইনের প্রতিযোগী মা আতিসা মানালোর কাছে হেরে যান; তবে সেরা ত্রিশে জায়গা করে নেন মিথিলা। এ তালিকার ১২তম স্থান দখল করেন বাংলার মিথিলা। 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ৭৪তম আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সেরা ৩০ প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা করেন সঞ্চালক। প্রথমবারের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্সের ‘টপ থার্টি’ তালিকায় বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করা হয়। এই সেরা ৩০ জনকে নিয়ে পরের পর্ব শুরু হয়।  

এ পর্বে সুইমস্যুট পরে একে একে মঞ্চে হাঁটেন ৩০ প্রতিযোগী। বিচারকরা সেই হাঁটা দেখে বাছাই করেন সেরা ১২ জনকে। আর এখানে হাঁটতে গিয়ে সামান্য হোঁচট খান মিথিলা; দ্রুতই তা সামলে নিয়ে হাঁটা শেষ করেন। মিস ইউনিভার্সের নিয়মানুযায়ী, এসব পর্বে খুব ছোট ভুল বা ছন্দপতনের কোনো সুযোগ নেই। এ ভুলের জন্য বড় মাশুল দিতে হয়। সম্ভবত, মিথিলাকেও সেই মাশুল দিতে হয়েছে! কারণ যখন সেরা ১২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়, সেই তালিকায় মিথিলার নাম পাওয়া যায়নি। মিথিলা ছাড়াও এ তালিকা থেকে বাদ পড়েন মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া, মিস ইউনিভার্স ফ্রান্সও। 

উল্লেখ্য, মিস ইউনিভার্সের এবারের আসরে প্রথম রানারআপ নির্বাচিত হয়েছেন থাইল্যান্ডের বীণা প্রবিনার সিং। দ্বিতীয় রানারআপ ভেনেজুয়েলার স্টেফানি অ্যাবাসলি, তৃতীয় ও চতুর্থ রানারআপ যথাক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন—ফিলিপাইনের মা আতিসা মানালো, আইভরি কোস্টের অলিভিয়া ইয়াচি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম স ইউন ভ র স র কর ন ম

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও

ছোট্ট ক্যারিবীয় দ্বীপ কুরাসাও লিখে ফেলল ইতিহাস। স্টিভ ম্যাকলারেনের জামাইকার সঙ্গে ড্র করেই তারা হয়ে গেল বিশ্বকাপে ওঠা সবচেয়ে ছোট দেশ। আগে এই রেকর্ড ছিল আইসল্যান্ডের, যারা খেলেছিল ২০১৮ বিশ্বকাপে। কিন্তু কুরাসাওয়ের তুলনায় তাদের দেশ অনেক বড়। মাত্র দেড় লাখের কিছু বেশি জনসংখ্যা কুরাসাওয়ের (যা কেমব্রিজ বা হাডার্সফিল্ডের সমান)। আর আয়তন মাত্র ১৭১ বর্গমাইল। ম্যান দ্বীপের চেয়েও ছোট।

জামাইকার কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক ইংল্যান্ড ম্যানেজার স্টিভ ম্যাকলারেন। ঘরের মাঠ কিংস্টনে জিতলেই ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উঠত জামাইকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র। ইনজুরি টাইমে পাওয়া পেনাল্টিটিও ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

টানা আট ছক্কায় আকাশের অনন্য রেকর্ড, ছুঁলেন শাস্ত্রী-সোবার্সকেও

লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা

অন্যদিকে, ব্যক্তিগত কারণে মাঠে উপস্থিত না থাকলেও কুরাসাওয়ের কোচ ডিক অ্যাডভোকাট বয়সের দিক থেকে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ৭৮ বছর বয়সে তিনি হবেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কোচ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল গ্রিসের দায়িত্ব নেওয়া অটো রেহাগেলের। যার বয়স ছিল ২০১০ সালে ৭১।

ভেনেজুয়েলা উপকূল থেকে মাত্র ৩৭ মাইল দূরের এই দ্বীপটি ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিস ভেঙে যাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস রাজ্যের অধীন একটি পৃথক দেশ হয়। মাত্র এক দশক আগেও ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তারা ছিল ১৫০ নম্বরে; এখন তারা উঠে এসেছে ৮২-তে।

৪৮ দল নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বর্ধিত ফরম্যাট এবং আয়োজক কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা অর্জন; সব মিলিয়ে কুরাসাওয়ের জন্য পথটা অনেকটাই সহজ হয়েছে। কেপ ভার্দে, উজবেকিস্তান ও জর্ডানের সঙ্গে তারা হয়ে গেল আগামী বিশ্বকাপের চতুর্থ নবাগত দল।

ম্যাচের আগে কুরাসাওয়ের মিডফিল্ডার জুনিনহো বাকুনা (হাডার্সফিল্ড, রেঞ্জার্স ও বার্মিংহামের সাবেক খেলোয়াড়) অভিভূত হয়ে বলেছিলেন, “এটা অবিশ্বাস্য। কুরাসাওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জনের একটি। কয়েক বছর আগেও এমন কিছু কল্পনাই করা যেত না। দলের অংশ হতে পারাটাই নিজের জন্য এক বিশাল স্বপ্নপূরণ হবে।”

১০টি ম্যাচে সাত জয় ও অপরাজিত অবস্থায় বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা।

তবে নাটকের শেষ ছিল আরও জমজমাট। পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় জেরেমি অ্যান্টোনিসে আইজ্যাক হেডেনকে ফাউল করেছেন বলে প্রথমে পেনাল্টির নির্দেশ দেন সালভাদোরীয় রেফারি ইভান বার্টন। কিন্তু ভিএআরের পরামর্শে তিনি মনিটর দেখে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। দর্শকদের হতাশায় ডুবে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।

কনকাকাফের বাছাই থেকে কুরাসাওয়ের সঙ্গে বিশ্বকাপে উঠেছে হাইতি ও পানামা। আর জামাইকার অপেক্ষা এখন আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ।

এদিকে, ক্যারিবিয়ান দ্বীপ হাইতি ১৯৭৪ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে নিকারাগুয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাঁচ দশকের রেকর্ড ভেঙে ‘আফ্রিকার বর্ষসেরার’ মুকুট হাকিমির মাথায়
  • জুটি বেঁধে পর্দায় ফিরছেন সাই পল্লবী-ধানুশ!
  • মার্কিন প্রতিবেদনে পাকিস্তানের ‘সামরিক সাফল্যের’ উল্লেখ
  • ৫২ বছর পর প্রথমবার বিশ্বকাপে হাইতি
  • র‍্যাঙ্কিংয়ে কিউই ইতিহাস, ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেল
  • ভারতের সঙ্গে জয়ের পর শ্রীমঙ্গলের বাড়িতে শমিত, মানুষের ভিড়, উৎসব
  • ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও