ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়, আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ড
Published: 26th, November 2025 GMT
ফরিদপুরে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে তার চাচাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে ফরিদপুরের শিশু ধর্ষণ অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন।
ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য গত মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে শিশু ধর্ষণের মামলার বিচার আলাদাভাবে করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়। ফরিদপুরে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পর এটিই প্রথম রায়।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্যাহগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির জমিজমা বিক্রি করে দুই লাখ টাকা ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশনা দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ মে বিকেলে শিশুটি নিজেদের বাড়িতে ছিল। তখন শিশুটির তিন বছর বয়সী বোনকে পাশের বাড়িতে নিয়ে যান চাচা। পরে শিশুটি বোনকে চাচার বাড়ি থেকে আনতে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। পরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে মা-বাবার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে পরদিন ভাঙ্গা থানায় ওই ব্যক্তিকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান। তিনি ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আজ ওই মামলার রায় দেন আদালত।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী বলেন, মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণের ঘটনার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিশু ধর্ষণ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালের অধীন ফরিদপুরে এটিই প্রথম রায়। তিনি বলেন, শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ দমনে আজকের রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় অপরাধ কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মাসুদুজ্জামানকে মহানগর বিএনপি’র পূর্ণ সমর্থন, বিজয়ী করার অঙ্গীকার
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার অঙ্গীকার করেছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখার ঘোষণা দেন।
মতবিনিম সভায় নেতাকর্মীরা বলেন,“রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতা থাকবেই। সেই প্রতিযোগিতা জয় করেই মাসুদুজ্জামান মাসুদ ভাই ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন। ধানের শীষ আমাদের বিশ্বাস, আস্থা ও আদর্শের প্রতীক।
তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মনোনীত প্রার্থী। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।দলের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং মাসুদ ভাইয়ের পক্ষে সমর্থন দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।”
তারা আরও বলেন,“গত সতেরো বছর আমরা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে থেকে হামলা, মামলা, নির্যাতন ও জুলুম সহ্য করেছি। তৃনমুলের নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ন করবে হবে।মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব এড. আবুল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে প্রতিটি আন্দোলনে ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছি। আগামী দিনেও সেই নেতৃত্বে থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর জন্য কাজ করতে চাই।”
নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দালাল কিংবা হাইব্রিড নেতাদের আমরা মাসুদ ভাইয়ের পাশে দেখতে চাই না। তাদের কারণে ধানের শীষের অনেক বদনাম হচ্ছে। আমরা চাই তিনি প্রকৃত তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমরা মাসুদ ভাইয়ের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে যাব, সমর্থন চাইব এবং ইনশাআল্লাহ ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করব।”
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ,শাহাদুল্লাহ মুকুল,আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা,মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।