হিউজের চলে যাওয়ার দিনে মনে পড়ে লাম্বাকেও
Published: 27th, November 2025 GMT
দেখতে দেখতে ১১ বছর! ক্রিকেট বিশ্বকে বিমূঢ়, হতবাক, শোকাচ্ছন্ন করে ফিলিপ হিউজের এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে অজানা অচেনা সেই রহস্যলোকে পাড়ি জমানোর ১১ বছর। জীবনটা তখন মাত্রই ফুটে উঠতে শুরু করেছিল। ফিল হিউজ চলে গেছেন ২৬তম জন্মদিনের তিন দিন আগে।
আগের দুটি দিন ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ২৫ নভেম্বর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় বাউন্সার লেগেছিল ঘাড়ের এক পাশে। টালমাটাল হিউজকে মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে দেখে সবার মনে যে ভয়টা জেঁকে বসেছিল, সত্যি হয়েছিল সেটাই। ফিল হিউজের আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি। ২৬ টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডেতেই থেমে যাওয়া আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অর্জনের গল্পের বদলে তাই অনন্ত এক আক্ষেপের নাম—আরও কত কী-ই না হতে পারত!
ফিল হিউজের ওই মৃত্যু শুধু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকেই নয়, কাঁপিয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকেই। কোনো ব্যাটসম্যানের মাথায় বল লাগলেই আতঙ্কের শুরুও তখন থেকে। যেটির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের আইনেও। হিউজের মৃত্যুতেই ‘কনকাশন বদলি’র চল হয়েছে। হেলমেটে যোগ হয়েছে বাড়তি সুরক্ষা। এসব তো হিউজকে মনে করিয়ে দেয়ই, প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে সতীর্থরাও স্মরণ করেন হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-ছোট ভাইকে।
ফিল হিউজকে ‘অমর’ করে রাখার বন্দোবস্তও করে রাখা হয়েছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। হিউজের মৃত্যুর কয়েক মাস পর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গিয়ে প্রথমেই ছুটে গিয়েছিলাম স্বাগতিক দলের ড্রেসিংরুমের সামনে। সিঁড়ির ঠিক ওপরে দরজার পাশে ফিল হিউজের স্মরণে ব্রোঞ্জের ফলকটা দেখতে। হিউজের আবক্ষ একটা মুখের ছবির নিচে উৎকীর্ণ তাঁর ক্রিকেটীয় কীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। সেটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় দেখলাম, ওই ফলকটি দেখার ব্যগ্রতা শুধু আমার একার নয়, এসসিজি দর্শনার্থীদের একটা জটলামতোই হয়ে গেছে সেখানে।
বাউন্সারের আঘাতে মাঠে লুটিয়ে পড়া ফিল হিউজকে ঘিরে সতীর্থরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ উজক
এছাড়াও পড়ুন:
হিউজের চলে যাওয়ার দিনে মনে পড়ে লাম্বাকেও
দেখতে দেখতে ১১ বছর! ক্রিকেট বিশ্বকে বিমূঢ়, হতবাক, শোকাচ্ছন্ন করে ফিলিপ হিউজের এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে অজানা অচেনা সেই রহস্যলোকে পাড়ি জমানোর ১১ বছর। জীবনটা তখন মাত্রই ফুটে উঠতে শুরু করেছিল। ফিল হিউজ চলে গেছেন ২৬তম জন্মদিনের তিন দিন আগে।
আগের দুটি দিন ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ২৫ নভেম্বর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সময় বাউন্সার লেগেছিল ঘাড়ের এক পাশে। টালমাটাল হিউজকে মুখ থুবড়ে পড়ে যেতে দেখে সবার মনে যে ভয়টা জেঁকে বসেছিল, সত্যি হয়েছিল সেটাই। ফিল হিউজের আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি। ২৬ টেস্ট আর ২৫টি ওয়ানডেতেই থেমে যাওয়া আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অর্জনের গল্পের বদলে তাই অনন্ত এক আক্ষেপের নাম—আরও কত কী-ই না হতে পারত!
ফিল হিউজের ওই মৃত্যু শুধু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকেই নয়, কাঁপিয়ে দিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকেই। কোনো ব্যাটসম্যানের মাথায় বল লাগলেই আতঙ্কের শুরুও তখন থেকে। যেটির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটের আইনেও। হিউজের মৃত্যুতেই ‘কনকাশন বদলি’র চল হয়েছে। হেলমেটে যোগ হয়েছে বাড়তি সুরক্ষা। এসব তো হিউজকে মনে করিয়ে দেয়ই, প্রতিবছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে সতীর্থরাও স্মরণ করেন হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-ছোট ভাইকে।
ফিল হিউজকে ‘অমর’ করে রাখার বন্দোবস্তও করে রাখা হয়েছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। হিউজের মৃত্যুর কয়েক মাস পর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গিয়ে প্রথমেই ছুটে গিয়েছিলাম স্বাগতিক দলের ড্রেসিংরুমের সামনে। সিঁড়ির ঠিক ওপরে দরজার পাশে ফিল হিউজের স্মরণে ব্রোঞ্জের ফলকটা দেখতে। হিউজের আবক্ষ একটা মুখের ছবির নিচে উৎকীর্ণ তাঁর ক্রিকেটীয় কীর্তির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। সেটির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় দেখলাম, ওই ফলকটি দেখার ব্যগ্রতা শুধু আমার একার নয়, এসসিজি দর্শনার্থীদের একটা জটলামতোই হয়ে গেছে সেখানে।
বাউন্সারের আঘাতে মাঠে লুটিয়ে পড়া ফিল হিউজকে ঘিরে সতীর্থরা