সাদাকালো ছবিটিতে হঠাৎ করেই চোখ যায় সংখ্যাটির দিকে। মুখের বাম পাশে লেখা ‘৯’। সংখ্যাটি লিখে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সংখ্যা থেকে কণ্ঠে—চলুন আমাদের গল্পটা শোনাই। আপনার নম্বরের গল্প বলেন, আরও জোরে আওয়াজ তোলেন। এর মধ্যে মানুষ হয়তো শুধু একটি সংখ্যা দেখবেন, কিন্তু আমি দেখি আমার সহ্য করা প্রতিটা কষ্ট আর জয় করে ওঠা প্রতিটা মুহূর্ত। আপনার সংখ্যাটিও শেয়ার করেন, আসুন আমাদের ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরাই একসঙ্গে দাঁড়াই।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী অভিনয়শিল্পীদের প্রায়ই নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। যার কোনো প্রতিকার ছিল না। তারকাদের এই সহিংসতা দীর্ঘদিন ধরেই সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু দিন দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। এই সহিংসতা আর নয়। এর বিরুদ্ধেই তিশার প্রতিবাদ। ডিজিটাল এই হয়রানির প্রতিবাদ জানাতেই এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন অভিনয়শিল্পী, গায়িকা ও কলাকুশলীরা।

নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইল কারাগারে আ. লীগ নেতার মৃত্যু

টাঙ্গাইল কারাগারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে তিনি মারা যান। 

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কারাগারের জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। 

আরো পড়ুন:

সৌদি আরবে পুলিশের গুলিতে প্রবাসী নিহত, পরিবারে শোক

বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ১৭

মারা যাওয়া সুলতান মিয়া উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের হরিরপাড়া গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। তিনি গোড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার মধ্যরাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সুলতানকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

গত বছরের ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক-সংলগ্ন গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ চলাকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামের হিমেলের দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হিমেলের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলি আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ মোট ১০০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গত ২৮ অক্টোবর সুলতানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রায় এক মাস তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ছিলেন।

জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল আলম বলেন, ‍‍“ময়নাতদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে দেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ