Prothomalo:
2025-06-15@09:01:02 GMT

পড়শীর বর কে এই নিলয়

Published: 12th, January 2025 GMT

গত বছর গায়িকা সাবরিনা পড়শী তাঁর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারলেও প্রকাশ্যে আনেননি। আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোর মাধ্যমে খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। পড়শীর বর নিলয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। দুই পরিবারের চাওয়া, আপাতত তাঁরা পড়শী–নিলয়ের বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনতে চান না। সামনে সুবিধাজনক সময় দেখে নিলয়ের সঙ্গে পড়শীর বিয়ের খবরটি প্রকাশ্যে আনবেন, এমনটাই চাওয়া। গানে গানে ব্যস্ত সময় পার করা পড়শীর বর কে এই নিলয়?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক যুগের বেশি সময় ধরে নিলয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও গানের সঙ্গেও তিনি যুক্ত আছেন। যথাবিরতিতে তাঁর গাওয়া গান প্রকাশিত হয়। নিলয়কে গানের মানুষ হিসেবে প্রথম দেখা যায় ২০০৮ সালে। চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গানরাজ’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা নিলয়ের গান শুনেছেন।

আরও পড়ুনবিয়ে করেছেন পড়শী২ ঘণ্টা আগে

অসংখ্য খুদে শিল্পীর মধ্যে টাঙ্গাইলে জন্ম নেওয়া নিলয় তাঁর গায়কি দিয়ে সবার নজর কাড়েন। সংগীত প্রতিভা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন সেরা দশে! শুধু তা–ই নয় ‘রঙের দুনিয়া তোরে চাই না’, ‘তুমি যদি বলো’, ‘মুনের দুঃখ মনে রইল’ কিংবা ‘সোয়াচান পাখি’র মতো গানগুলো গেয়ে তুমুল জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন তিনি। সেরা ছয়ে থামে নিলয়ের ক্ষুদে গানরাজের সফর! একই আসরে প্রতিযোগী হিসেবে ছিলেন সাবরিনা পড়শী। ওই আসরে পড়শী চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন।

২০০৮ সালে ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতার সেরা ছয়ে জায়গা করে নিলেও সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশ–বিদেশে বহু স্টেজ শোতে অংশ নেন এই খুদে শিল্পী। ২০১০ সালে মা-বাবার সঙ্গে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে সেখানেই স্থায়ী হন। ব্যস্ত হয়ে পড়েন পড়ালেখায়। দেশ কিংবা নিজের চেনা পরিমণ্ডল ছেড়ে গেলেও সংগীত ছাড়েননি নিলয়। পড়ালেখার পাশাপাশি সংগীত চর্চা করে গেছেন তিনি। স্টেজ শো কিংবা পারফর্ম না করলেও নিজের মতো করে গানের চর্চা চালিয়ে গেছেন। পরিবারের সমর্থনে নিউইয়র্কের সিটি কলেজে লেখাপড়া করেছেন মিউজিক নিয়েই।

দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালের দিকে নতুন গান প্রকাশও করেন ক্ষুদে গানরাজের নিলয়! নিউইয়র্ক থেকে নিলয় তখন জানান, ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’–এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি প্রকাশিত হয়েছে। ‘তোমার জন্য’ শিরোনামের গানটি গাওয়ার পাশাপাশি এর কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেন নিলয়। তখন এ গানটি প্রকাশ্যে আনার উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান ইজাজ খান স্বপনের প্রতি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কীর্তনখোলার তীর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে

আনিকা জেবা ও মালিহা জেবা। যমজ বোন। গত ১৭ মে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ‘সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট’ পদে কমিশন্ড হন। বরিশাল সদরে জন্ম নেওয়া দুই বোন ২০১০ সালে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কেমন করে গেলেন স্বপ্নের বন্দরে তাই তুলে ধরেছেন মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ 

গত ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট জোন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন আনিকা জেবা ও মালিহা জেবা। এর ঠিক পরদিনই এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ‘সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট’ পদে কমিশন্ড হন। আরও মজার বিষয় হচ্ছে, এমবিএ গ্র্যাজুয়েশন ও সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভের ঠিক পরদিন, ১৮ মে ছিল এই দুই বোনের জন্মদিন। জন্মদিনটি তারা পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের আর রাজ্জাক সুপারমার্কেটের ব্যাঙ্কুয়েট হলে।
কীর্তনখোলার তীর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে...
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি আমেরিকানদের মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যমজ বোন আনিকা জেবা ও মালিহা জেবার জন্ম বরিশাল সদরে। ২০১০ সালে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তারা। নিউইয়র্কে গিয়ে হাইস্কুল শেষ করে তারা সেন্ট জোন্স ইউনিভার্সিটিতে ব্যবসা প্রশাসনে ভর্তি হন এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশ নেন। ১৬ মে সেন্ট জোন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ‘সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট’ পদে 
কমিশন্ড হন।
যে উদ্যোগ অনুপ্রেরণাদায়ক
সেন্ট জোন্স ইউনিভার্সিটি ১৭ মে তাদের ডিগ্রি অর্জন উপলক্ষে যে সংবর্ধনা দেন তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান জে শ্যানলি বলেন, ‘শিক্ষার পাশাপাশি দেশসেবায় তাদের এই উদ্যোগ অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে তারা নিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নেবেন।’
যে জন্য করেছেন এমবিএ
মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এমবিএ কোর্স সম্পন্নের পর আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জনে আনিকা জেবা ও মালিহা জেবা বলেন, এমবিএ হয়েছি নিজের ব্যবসাকে আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মধ্য দিয়ে বহুজাতিক সমাজে বাঙালির এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকার জন্য। অধ্যয়নের পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করেছি। বাংলাদেশেও রয়েছে দুটি কসমেটিকস ব্র্যান্ড ‘দ্য বিউটি মল’ এবং ক্লথিং ব্র্যান্ড ‘ইলেনি’। এ দুটো পরিচালিত হচ্ছে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে। আর রাজ্জাক ম্যানেজমেন্ট ইনকের অধীনে নিউইয়র্কের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পাঁচটি হচ্ছে– এবিসি ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল, বুচার মিট, আর রাজ্জাক সুপারমার্কেট, আর রাজ্জাক ব্যাঙ্কুয়েট এবং আর রাজ্জাক হোলসেল ফ্লাওয়ার। 
ঐতিহ্য ও মায়ের অগ্রযাত্রা
বরিশাল থেকে মা মোর্শেদা বেগমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো দুই বোন দেখেছেন মায়ের দৃঢ়তা ও পরিবারের জন্য মায়া। এও দেখেছেন যে মায়ের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা ‘আর রাজ্জাক ম্যানেজমেন্ট’ কেমন করে আস্থা অর্জন করে নিয়েছে স্থানীয় বাঙালিদের মাঝে! প্রতিষ্ঠানটির মাটি দিয়ে তৈরি ডিনার সেট প্রবাসীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কেবল পহেলা বৈশাখেই নয়; বাঙালিয়ানা প্রদর্শনের অন্য সব অনুষ্ঠানে এবং শৌখিন প্রবাসীদের ড্রয়িং রুমেও স্থান করে নিয়েছে তাদের মাটির ডিনার সেট। মায়ের মতো দুই বোনও বাংলাকে ভালোবেসে, বাঙালিয়ানায় ভর করে এগিয়ে যেতে চান। 
আগামীর স্বপ্ন
আনিকা জেবা এবং মালিহা জেবা দেশ ছাড়ার পর থেকে তাদের উচ্চশিক্ষা লাভের ব্যয় নিয়ে কোনো রকম দুশ্চিন্তা করতে হয়নি মা মোর্শেদা বেগম মায়াকে। তারা বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গেই নিজেদের পড়াশোনা চালিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ মে তারা ‘ইউএস আর্মি রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং কোর্স’ সম্পন্নের সার্টিফিকেট তথা ‘সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। সেদিন সেন্ট জোন্স ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান জে শ্যানলি ক্লাস-২০২৫ কমিশনিংপ্রাপ্ত ১৪ জনকে অভিনন্দন জানান। সেকেন্ড লেফটেন্যান্টের ব্যাজ পরার আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে দুই বোন বলেন, ‌‘পেশার পাশাপাশি আগামীতে নিজেদের ব্যবসাকেও এগিয়ে নিতে চাই। দেশেও কাজ করছি আমরা। সেখানেও রয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এসবের পাশাপাশি মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। এই কাজের ধারাবাহিকতার পাশাপাশি নিজেদের সঙ্গে লাল-সবুজের পতাকাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই!’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কীর্তনখোলার তীর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে
  • টানা ৩৬ ঘণ্টা খেললেন গলফ