প্রশ্ন

আমার মায়েরা দুই ভাই–বোন। মামার কোনো সন্তান নেই। নানার অনেক সম্পত্তি। আমি মায়ের একমাত্র সন্তান (পুত্র)। কিছু জটিলতার কারণে মামার সন্তান হবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এটা জানার পর থেকে আমার চাচাতো মামারা নানার জায়গা দখলে রাখতে দোকান তুলে রাখছেন। নিষেধ করলে বলেন, না হলে তো সব সম্পত্তি ভাগনে পাবে।

এখন আমি জানতে চাই, আমার নানার সম্পত্তি আসলে কীভাবে ভাগ হবে। মামার অংশের পাওনাদারই–বা কে হবেন?

আহাদ, রাজশাহী

উত্তর

প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আপনি জানিয়েছেন, আপনার মা আর মামা দুই ভাই–বোন। মামা নিঃসন্তান। সে ক্ষেত্রে আপনার মামার মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার কারা হবেন, জানতে চেয়েছেন। প্রথমেই বলে রাখি, একজন ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর সম্পত্তির মালিক শুধু তিনি নিজে।

জীবিত অবস্থায় তিনি চাইলে তাঁর উত্তরাধিকারদের মধ্যে সমান ভাগে বা তাঁর যাকে ইচ্ছা এবং সব আইন মেনে যেকোনো পরিমাণ সম্পত্তি দানের মাধ্যমে অন্যকে দিতে পারবেন।

সে ক্ষেত্রে কেউ তাঁকে বাধা দিতে পারবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে জীবিত থাকা অবস্থায়ই দান কার্যকর করতে হবে, দান অবশ্যই ঘোষিত হতে হবে এবং অবশ্যই নিবন্ধন করে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে হবে।

কাজেই আপনার চাচাতো মামারা যে জায়গা দখল করে আছেন, তা আইনত অবৈধ দখল। আপনার মামা চাইলে তাঁদের আইনগতভাবে উচ্ছেদ করতে পারবেন।

মুসলিম পারিবারিক সম্পত্তি আইন অনুযায়ী, আপনার নানার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে সম্পত্তির ভাগ পাবেন।

আপনার নানার মৃত্যু হলে আপনার নানি তাঁর স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ (৮ ভাগের ১ ভাগ) অংশ পাবেন। অবশিষ্ট সম্পত্তি পুত্র ও কন্যাদের মধ্যে, অর্থাৎ আপনার মা ও মামার মধ্যে ভাগ হবে।

কন্যা এক গুণ, পুত্র দ্বিগুণ, অর্থাৎ অবশিষ্ট সম্পত্তির তিন ভাগের এক ভাগ পাবেন আপনার মা আর দুই ভাগ মামা।

আরও পড়ুনপ্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে আবার ফিরে এসেছেন স্ত্রী২৮ আগস্ট ২০২৪

তবে আপনার নানা ইচ্ছা করলে তাঁর জীবদ্দশায় সম্পত্তি ভাগ–বাঁটোয়ারা করতে পারবেন। এখানে ভাগের কোনো নিয়ম নেই। নিজের সম্পত্তি তিনি যাঁকে যেভাবে দিতে চান, নিজের ইচ্ছেমতো দিয়ে যেতে পারেন।

ইচ্ছা করলে আপনার নানা সব সম্পত্তি আপনার নানি, মা ও মামার মধ্যে হেবা করে দিতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ অনুযায়ী, হেবা রেজিস্ট্রি করতে হবে ভূমি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে।

এরপর আসা যাক আপনার মামার প্রাপ্ত সম্পত্তি বিষয়ে। মামার মৃত্যু হলে যেহেতু তাঁরা নিঃসন্তান, তাই আপনার মামি তাঁর স্বামীর মোট সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ পাবেন।

আপনার মামার মৃত্যু আপনার নানির আগে হলে আপনার নানি পাবেন তিন ভাগের এক ভাগ। আপনার নানা যদি ওই সময়ে জীবিত না থাকেন, তাহলেই কেবল অবশিষ্ট অংশ আপনার মা পাবেন।

পরবর্তী সময়ে আপনার মায়ের উত্তরাধিকার হিসেবে সেই সম্পত্তি আপনার কাছে আসবে।

আশা করি, আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা

পাঠকের প্রশ্ন পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে।

ই–মেইল ঠিকানা: [email protected] (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’) 

ডাক ঠিকানা : প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’)

ফেসবুক পেজ: fb.

com/Adhuna.PA

আরও পড়ুনএখন শুনি, প্রেমিকা আমার সেই বন্ধুকে এক বছর আগেই বিয়ে করেছে ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র ম ম আপন র ন ন সন ত ন প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

আফ্রিদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

বিকেলে ছিল ম্যাচ হবে কি না অনিশ্চয়তা। নানা নাটকীয়তার পর অনিশ্চয়তা কেটে ম্যাচ শুরু হলো এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে বিলম্বিত ম্যাচে আর খুব বেশি অনিশ্চয়তা–নাটকীয়তার দেখা মিলল না। দুবাইয়ে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করেছে সালমান আগার দল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে জায়গা করেছে ভারতও। যার অর্থ, ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত–পাকিস্তান।

গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাকিস্তান–আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান গ্রুপ ম্যাচের ঘটনার জেরে। সেদিন ভারতের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যাচের শুরু ও শেষে হাত না মেলানোয় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

পাইক্রফট টসের সময় অধিনায়ককে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে রীতিমতো এশিয়া কাপ বর্জনের আবহ তৈরি করে পিসিবি।

শেষ পর্যন্ত পাইক্রফটের ক্ষমা প্রার্থনায় গতকাল তাঁর পরিচালনায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে খেলতে নামার সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ শুরুর সময়।

আরও পড়ুনপাকিস্তান অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট, দাবি পিসিবির৬ ঘণ্টা আগে

দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে আমিরাত অধিনায়ক টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ফখর জামানের ৩৬ বলে ৫০ আর শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৪ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬। মূলত আফ্রিদির শেষ দিকের ঝোড়ো ব্যাটিংই পাকিস্তানের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যায়।

নানা নাটকীয়তার পর অ্যান্ডি পাইক্রফটই পাকিস্তান–আমিরাত ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ