চাকরিবিষয়ক ওয়েবসাইট বিডিজবস ডটকমের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি ‘কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নেবে। এ পদে পুরুষ-নারী উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ।

পদ সংখ্যা: ১৩টি।

আরো পড়ুন:

দেশসেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে ক্যামেরুনে

ওয়ালটনের ডুয়াল ব্যান্ড রাউটার উদ্বোধন করলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান

চাকরির বিবরণ/দায়িত্ব: ইনকামিং এবং আউটগোয়িং উভয় ধরনের ফোন কলে অংশ নিতে হবে। ফোনের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিতে হবে। গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানাতে হবে। গ্রাহকদেরকে পণ্যের তথ্য প্রদান করতে হবে। গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে ও বুঝে উপযুক্ত সমাধানের ব্যাপারে জানাতে হবে। বিক্রয় পরবর্তী সেবাসংক্রান্ত ই-মেইল ফলোআপ করা লাগবে এবং গ্রাহকদের ই-মেইলের উত্তর দিতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক।

অভিজ্ঞতা: কাস্টমার সাপোর্ট/ক্লায়েন্ট সার্ভিসে ১-৩ বছরের অভিজ্ঞতা। তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও এ পদে আবেদন করা যাবে।

অন্যান্য যোগ্যতা: মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে (মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, আউটলুক প্রভৃতি) দক্ষতা থাকতে হবে। বাংলা এবং ইংরেজিতে সাবলিলভাবে যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে। ধৈর্যশীল ও ঠান্ডা মেজাজের অধিকারী হতে হবে।

বয়সসীমা: বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

কর্মস্থল: ঢাকা (মিরপুর)।

বেতন: ১৭,০০০-২০,০০০ টাকা। সঙ্গে মুঠোফোন বিল, পারফরমেন্স বোনাস, লভ্যাংশ শেয়ার, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে। 

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে বিডি জবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’

ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।

হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।

আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’

গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ