ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলম দিয়ে লেখা হবে, তা ভেঙে দেওয়া হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 14th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মানবাধিকারের জন্য লড়াই করলে সেটি হবে ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা। আর ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব কলম দিয়ে লেখা হবে, সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথসভায় এই হুঁশিয়ারি দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে এই গণসংযোগ ও পথসভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
পথসভায় বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সহমুখপাত্র আরেফিন মুহাম্মদ, যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ্ আল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান, কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, সাবিত আল হাসান, তামিম আহমেদ প্রমুখ।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যেসব টক শো, যেসব মিডিয়াপাড়া, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছেন; আপনারা এ ফ্যাসিবাদের তেল নুন ঘি খেয়ে এত দিন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যে কলমগুলো লিখবেন, সেই কলমগুলো ভেঙে দেব। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া কথা বলবে, সেসব মিডিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মগজ চিন্তার প্রসার ঘটাবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে।’
তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগের মতো পরবর্তী সময়ে যারাই নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আসবে, তাদেরও একই পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ফ্যাসিবাদবিরোধী মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা শক্তি রয়েছে, সব কটির সংমিশ্রণে পরবর্তী বাংলাদেশের বিনির্মাণ করতে হবে এবং প্রতিটি জিনিসের দালিলিক স্বীকৃতি দিতে হবে। অবিলম্বে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দিতে হবে।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।