বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) পারিশ্রমিক জটিলতা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে বিসিবি সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলেন, ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো অভিযোগ-ই করতে পারবেন না। 

কিন্তু ঢাকায় প্রথম পর্ব ও সিলেট পর্বে পারিশ্রমিক ইস্যুতে ভেতরে ভেতরে ফুঁসছিলেন একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটাররা। এবার সেটা বড় আকার ধারণ করল। বিপিএলের নবাগত দল দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক পাননি বলে আজকের অনুশীলন বাতিল করেছে।

ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজশাহীর টিম ম্যানেজমেন্ট ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকের চেক স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হওয়ায় ক্ষেপেছেন ক্রিকেটাররা। রাজশাহীর একাধিক স্থানীয় ক্রিকেটার রাইজিংবিডিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে রাজশাহীর ম্যানেজমেন্ট থেকেও খবরের সতত্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে।  

আরো পড়ুন:

বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের সময়সূচি

বিপিএল: দেশিদের রাজত্বে রঙিন চায়ের দেশ

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে রাজশাহীর অনুশীলন সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে ৯টা ৪৮ মিনিটে মিডিয়া ম্যানেজার মেসেজ দিয়ে অনুশীলন বাতিল হওয়ার কথা জানান। 

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় ক্রিকেটারদের চেক বাউন্স হওয়ায় তারা অনুশীলন না করার সিদ্ধান্ত নেন। সঙ্গে ১০ দিনের দৈনিক ভাতা বকেয়া রয়েছে। 

বিস্তারিত আসছে…

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ পরিবারের নাম ভেঙে দিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা থেকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পরিবারের নাম এবং স্মৃতিফলক ভেঙে দিয়েছেন যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নামফলক, প্রধান ফটকে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, শেখ রাসেল জিমনেশিয়ামের নাম ফলক ভেঙে দেন তারা।

এর আগে, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম রঙ দিয়ে মুছে দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সামিউল আজিম বলেন, “ফাসিস্টের সব স্মৃতি এভাবেই সবসময় ভেঙে দেওয়া হয়। এ ধ্বংসস্তুপ যেন সেখানেই রাখা হয়, যাতে পরবর্তীতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সে যেন বুঝতে পারে ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি কি হয়।”

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার মুখ্য সংগঠক আল মামুন লিখন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি ভবন স্বৈরাচার শেখ পরিবারের নামে ছিল। জুলাই বিপ্লবের পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নামগুলো পরিবর্তনের জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার সঙ্গে শেখ পরিবারের নামে থাকা ভবনগুলোর নামফলক উঠিয়ে ফেলেছি।”

তিনি বলেন, “প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, এ ভবনগুলোর নাম খুব দ্রুতই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই আন্দোলনের নায়কদের নামানুসারে রাখা হোক।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক এস এম দোলেনুর করিম বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি সিস্টেমের দোহাই দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিবর্তনগুলো হওয়ার দরকার ছিল, তা এখনও হয়নি। যেখানে ছাত্র-জনতার চাহিদা, সেখানে এ রকম কাজগুলো দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঝুলিয়ে না রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।”

তিনি বলেন, “এ কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক আগেই করার দরকার ছিল। যেহেতু তারা পারেনি, তাই আমরাই শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রতিটা ভবনের নাম ফলক উঠিয়ে দিলাম। এটা ভবিষ্যতে কোন সরকার যেন একনায়ক শাসন ও শোষণ না করতে পারে, তারই একটা হুঁশিয়ারি বার্তা।”

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ পরিবারের নাম ভেঙে দিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
  • ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে সাহিত্য–সংস্কৃতিতে একটা আন্দোলন হিসেবে হাজির করা যেতে পারে’
  • ‘জেলা প্রশাসক’ ও ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার’ পদবি পরিবর্তনের সুপারিশ
  • কুবিতে বিপ্লব পরবর্তী শিক্ষাঙ্গন ও গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা