ফরিদপুরের নগরকান্দায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে সংঘর্ষ শুরু হলেও শনিবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে কয়েক দফায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে অনেককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রামবাসীর সঙ্গে নগরকান্দা পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এসময় গ্রামবাসীরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, ঢাল সরকি, বল্লম ব্যবহার করেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। 

স্থানীয়রা জানান, সলিথা মাদরাসায় শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মিরাকান্দা ও সলিথা গ্রামবাসীর মধ্যে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিল এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে শুক্রবার রাতেই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শনিবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামবাসী আবার সংঘর্ষে জড়ায়। 

দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে থানার ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সফর আলী।  

সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে নিরাপত্তা জোরদারে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা

সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।

এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।


অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।

এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা