ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ৬টি গাড়ি। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গড়ের মাথা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলোর মধ্যে দুটি বাস, একটি করে ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মহাসড়ক থেকে গাড়িগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩

চাঁদপুরে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এসব গাড়ি ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েকটি পরিবহনের সামনের গ্লাস ভেঙে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বড়দরগা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো.

মনিরুজ্জামান বলেন, ‘‘মহাসড়কের ওই স্থান দিয়ে প্রতিদিন বালু ও মাটিবাহী ট্রাক চলাচল করে। রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি শিশিরে পিচ্ছিল হয়েছিল। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় হয়তো চালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’’

ঢাকা/আমিরুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ঘন ক য় শ দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ