Samakal:
2025-05-01@12:11:23 GMT

ক্যান্সারের ভ্যাকসিন

Published: 1st, February 2025 GMT

ক্যান্সারের ভ্যাকসিন

ক্যান্সার চিকিৎসায় শিগগিরই বাজারে ভ্যাকসিন (টিকা) আনছে রাশিয়া। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি ক্যান্সারের এ টিকার বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হতে পারে। 
সংস্থাটির পরিচালক আলেক্সান্দার গিন্টজবার্গ গত ২৭ জানুয়ারি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে এ টিকার ব্যবহারসংক্রান্ত অনুমোদনের জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে আবেদন করেছি। সম্ভবত আগস্ট শেষ হওয়ার আগেই অনুমোদন পেয়ে যাব। এমনটা হলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই টিকা ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
নতুন এ টিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এমআরএনএ প্রযুক্তিতে। এমআরএনএ মূলত এক ধরনের প্রোটিন, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কোনো বিশেষ রোগ বা অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রশিক্ষিত করে তোলে।
গিন্টজবার্গ জানান, যাদের ইতোমধ্যে ক্যান্সার ধরা পড়েছে, তাদের এই টিকা দেওয়া যাবে। অর্থাৎ এটি প্রিভেন্টিভ বা প্রতিরোধমূলক নয়; বরং থেরাপিউটিক বা চিকিৎসামূলক। আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যান্সার কোষ সংগ্রহ করে পারসোনালাইজ করে টিকা মানবদেহে প্রবেশ করানো হয়। সেটি অল্প সময়ের মধ্যেই রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলে। এ প্রশিক্ষিত প্রতিরোধী শক্তিই ক্ষতিকর ক্যান্সার কোষগুলোকে প্রথমে শনাক্ত ও পরে ধ্বংস করে। ক্যান্সারের সাধারণত তিনটি স্তর থাকে– প্রাথমিক, মধ্যম ও চূড়ান্ত। প্রাথমিক স্তরে এই টিকা সবচেয়ে বেশি কার্যকর। মধ্যস্তরের ক্যান্সার রোগীও এই টিকার মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ায় ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ এবং প্রতি বছর দেশটিতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন প্রায় ৬ লাখ ২৫ হাজার রোগী। গামালিয়া ইনস্টিটিউট বিশ্বের শীর্ষ অণুজীব ও চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ