গাজীপুরে স্ত্রীর গলা কেটে পলাতক স্বামী
Published: 4th, June 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর মোগর খাল এলাকায় স্ত্রীর গলা কেটে কাঁথা ও কম্বল পেঁচিয়ে রেখে পালিয়েছে তার স্বামী। মঙ্গলবার (৩ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে৷
নিহত রত্না বেগম (২২) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানার ভোগরা বেলতলা এলাকার মোতালেব হোসেনের মেয়ে। তিনি স্বামী সামিমের সঙ্গে মোগর খাল এলাকায় লাভলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রত্না স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন৷ স্বামীর সঙ্গে মাঝে-মধ্যে তার ঝগড়া-বিবাদ হতো। মঙ্গলবার রাতে আশপাশের লোকজন রত্নার কক্ষ থেকে গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দেন৷ পুলিশ এসে কক্ষটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়৷ পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে খাটের ওপর কম্বল কাঁথা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় রত্নার হাত-পা বাঁধা ও গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বলেছেন, ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, তার স্বামী তাকে হত্যা করে পালিয়েছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।