প্রতি বছরের মতো এবারো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আগামী ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি ‌‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদান করবে। এ জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক প্রদানের লক্ষ্য- সমাজে নারীর মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদান।

পদকপ্রাপ্তির ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ, পল্লী উন্নয়ন, সরকার নির্ধারিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

আরো পড়ুন:

খুবিতে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৪ শিক্ষক

মানুষ যতটুকু চেষ্টা করবে ততটুকুই সে অর্জন করবে: ইবি উপাচার্য

এসব ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক প্রদান করা হবে।

এ বছর পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেবেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

আবেদনের নিয়মাবলি

আগ্রহীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ এক সেট হার্ডকপি ও সফটকপি (Nikosh ফন্টে প্রস্তুতকৃত) জমা দিতে হবে। সফটকপি ই-মেইল করতে হবে [email protected] ঠিকানায়। আবেদনের শেষ সময় আগামী ২০ জুন। প্রেরণস্থল: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখা।

আবেদন যথাসময়ে প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ বস

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, শিক্ষা মানুষকে বিনয়ী করে। সবার মধ্যে শিক্ষার ছোঁয়া পড়লে সমগ্র বাংলাদেশ পরিবর্তন হতে বেশি সময় লাগবে না। প্রকৃত শিক্ষা যে অর্জন করেছে সে কখনো অহংকারী হবে না, সে কখনো দাম্ভিক হবে না। সেগুলো পরিহার করে নম্র ও বিনয়ী হবে। শিক্ষা মানুষকে বিনয় করে। একজন ছাত্র যদি শিক্ষক ও পরিবারের মধ্যে থেকে সঠিক শিক্ষা পায় সে ছাত্র কখনো দম্ভ দেখাবে না, সে বিনয়ী হবে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করা যাবে না। শিক্ষা হচ্ছে প্রকৃত মানুষ হওয়ার প্রধান মাধ্যম এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়িতে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আবরার বলেন, মহামতি গৌতম বুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে জ্ঞান আহরণ ও মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছিলেন। সেই আড়াই হাজার বছর আগে প্রচারিত গৌতম বুদ্ধের বাণী আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটাতে পারলে প্রত্যেকের বাস্তব জীবন সফল ও সুন্দর হবে।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি হতে হবে আনন্দমুখর। যেখানে মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজে একজন ভালো মানুষ হওয়ার পথে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষা কখনো ভালো মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না।

তিন পর্বের অনুষ্ঠানে প্রথমে ধর্মীয় পর্ব, দ্বিতীয় পর্বে গুণীজন সংবর্ধনা এবং তৃতীয় পর্বে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- উপসংঘরাজ শাসনভাস্কর শাসনপ্রিয় মহাস্থবির, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া ও বৌদ্ধ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া।

এতে বক্তব্য দেন- উপসংঘরাজ সদ্ধর্মবারিধি প্রিয়দর্শী মহাস্থবির ধর্মদর্শী মহাস্থবির।

অনুষ্ঠানে দেশ ও সম্প্রদায়ের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৫ গুণীব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন- স্বাধীনতা ও একুশে পদকে ভূষিত টাঙ্গাইল কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক ও ভাষাসংগ্রামী প্রতিভা মুৎসুদ্দী, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পদকে ভূষিত বরেণ্য ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক সাহিত্যিক সুব্রত বড়ুয়া, বহু সম্মাননায় ভূষিত সাহিত্যিক-গবেষক-সংগঠক অধ্যাপক বাদল বরণ বড়ুয়া ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া ও শিল্পপতি ও দানবীর স্বপন কুমার চৌধুরী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করা যাবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা