ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
Published: 15th, June 2025 GMT
‘আগামীতে জেলায় প্রবেশ করলে হুঁশিয়ার হয়ে কথা বলবেন। যদি সঠিকভাবে আপনার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, আপনার সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারেন, তাহলেই এ জেলায় কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। অন্যথায় আপনার যে কোনো কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রদল প্রস্তুত।’
রোববার দুপুরে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, দলীয় নেতাকর্মীর ওপর হামলা, জেলা ছাত্রদল সম্পর্কে ভিপি নুরের মিথ্যাচার ও মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে রোববার দুপুরে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে এভাবেই সতর্ক করে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদল নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব মো.
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস এলাকায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই রাতেই বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় নুরুল হক নুরকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জেরে পরদিন শুক্রবার গলাচিপায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপি। শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন গলাচিপা ও দশমিনা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। বিকেলে নুরুল হক নুর সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের বিরুদ্ধে এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅধিকার পরিষদের নেতার বাড়িতে হামলা, সাবেক দুই এমপির নামে মামলা
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৫১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রামগাতী গ্রামে আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে আব্দুর রহিমকে মারধর করে থানায় নেওয়া হয় এবং একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়। সে সময় ভয় ও রাজনৈতিক চাপে মামলা করা সম্ভব হয়নি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/অদিত্য/রফিক