Samakal:
2025-06-16@01:18:52 GMT

ব্যয় বাড়ল ১৪৪ কোটি টাকা

Published: 15th, June 2025 GMT

ব্যয় বাড়ল ১৪৪ কোটি টাকা

‘খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০১১ সালে। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এর পর আটবার প্রকল্পের সময় বেড়েছে, দুই দফা সংশোধনের পর ব্যয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। এ অবস্থায় প্রকল্পটি শেষ হওয়া নিয়ে হতাশা দেখা দেয়। 
আশার কথা, নতুন জেলা কারাগারের কাজ শেষ হয়েছে। গত ২৫ মে গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে নতুন কারাগারটি বুঝে নেওয়ার কথা ছিল কারা কর্তৃপক্ষের। কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় হস্তান্তর হয়নি। চলতি জুন মাসে যে কোনো সময় নতুন কারাগার হস্তান্তরের কথা রয়েছে। জনবল পদায়ন হলেই নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর শুরু হবে।
১৯১২ সালে নগরীর ভৈরব নদীতীরে নির্মাণ করা হয় খুলনার প্রথম কারাগার। সেখানে বন্দি ধারণক্ষমতা ৬৭৮ জনের। রয়েছেন ১ হাজার ৪শর বেশি বন্দি। ১১৩ বছরের পুরোনো জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হয় তাদের। এসব বিবেচনায় নিয়েই নতুন কারাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কের জয় বাংলা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নতুন কারাগার নির্মাণ হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী নতুন কারাগারে ৪ হাজার বন্দি থাকতে পারবেন। প্রকল্পের আওতায় আপাতত ২ হাজার বন্দি রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। পরে প্রয়োজন পড়লে পৃথক প্রকল্প নিয়ে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ হবে।
নতুন কারাগার হবে সংশোধনাগার
কারাগার ঘুরে দেখা গেছে, ভেতরে সাজানো-গোছানো অভিজাত আবাসিক এলাকার মতো পরিবেশ। রং দেওয়া নতুন ভবন, পথের ধারে 
ফুল, দামি পার্কিং টাইলস দেওয়া ফুটপাত ধরে হাঁটলে এটি কারাগারই মনে হয় না। নতুন এ কারাগার নির্মাণ হচ্ছে সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দিদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্কশেড আছে। একইভাবে বন্দিদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকবে। 
আরও থাকবে কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল লাইব্রেরি, ডাইনিং রুম, আধুনিক স্যালুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দিদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এ ওয়ার্ডটিতে সাধারণ নারী বন্দি থাকতে পারবেন না। সেখানে শিশুদের জন্য লেখাপড়া, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা থাকবে। কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দিদের হস্তশিল্পের কাজের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্কশেড, বিনোদন কেন্দ্র ও নামাজের ঘর রয়েছে। মোট ৫২টি স্থাপনা রয়েছে এ কারাগারে। 
গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম জানান, বন্দিদের প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে পৃথক সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। এক শ্রেণির বন্দিদের অন্য শ্রেণির বন্দিদের সঙ্গে মেশার 
সুযোগ নেই। কারাগারের ভেতরে শুধু সীমানাপ্রাচীরই রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। ভেতরে ড্রেন, ফুটপাত, নিজস্ব পয়োবর্জ্য শোধন কেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা, দুটি পুকুর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সবকিছুর কাজ শেষ।
সময় বেড়েছে আটবার, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ
২০১১ সালের অনুমোদিত খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১৪৪ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের ৬ জুন প্রকল্পটি প্রথম দফা সংশোধন করা হয়। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫১ কোটি টাকা। নতুন লক্ষ্য নেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার। এর পর পাঁচ দফায় পাঁচ বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কাজ আর শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের মে মাসে দ্বিতীয় দফায় প্রকল্প সংশোধন করা হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ কোটি টাকায়।
হস্তান্তর ও চালু কবে
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন কারাগারের সব কাজ শেষ। কয়েকটি স্থাপনায় রঙের শেষ প্রলেপসহ টুকটাক কাজ বাকি রয়েছে। আগে করলে এসব নষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে হস্তান্তর তারিখ নির্ধারণ হলেই এসব কাজ করা হবে। 
খুলনার জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, কিছু কাজ বাকি ছিল, সেগুলো শেষ করতে বলা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে চলতি জুন মাসেই আমরা কারাগার বুঝে নেব। তিনি আরও বলেন, কারাগার পরিচালনার জন্য ৬০০ জনবলের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পুরোনো কারাগারে প্রায় ২০০ জনবল রয়েছে। স্থাপনা বুঝে নেওয়ার পর কারাগার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নত ন ক র গ র বন দ দ র দ র জন য প রকল প র বন দ

এছাড়াও পড়ুন:

সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন যেসব অভিনেতা

বিশ্বের অনেক তারকা অভিনেত্রীদের মতো বলিউডের অভিনেত্রীরাও সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন। কেবল তাই নয়, বলিউডের অনেক তারকা অভিনেতা-নির্মাতাও সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন। বলিউডের এমন কজন তারকা অভিনেতাকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন। 

শাহরুখ খান
বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন গৌরি খানের সঙ্গে। এ দম্পতির তিন সন্তান। ১৯৯৭ সালে জন্ম হয় তাদের পুত্র আরিয়ান খানের। ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেন কন্যা সুহানা। ২০১৩ সালে জন্ম হয় এ দম্পতির ছোট ছেলে আব্রাম খানের। তবে ছোট ছেলে আব্রামের জন্ম হয়েছে সারোগেসির মাধ্যমে। 

আমির খান
রিনা দত্তের সঙ্গে প্রথম ঘর বাঁধেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। এ সংসারে ইরা ও জুনায়েদ খান নামে দুটি সন্তান রয়েছে। প্রথম সংসার ভাঙার পর পরিচালক কিরণ রাওয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আমির খান। ২০১১ সালে এ দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেয় আজাদ রাও খান। তবে আজাদের জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছে।    

আরো পড়ুন:

‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া

‘দঙ্গল’ সিনেমা কেন নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান?

তুষার কাপুর
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তুষার কাপুর। নব্বই দশকের শেষের দিকে বলিউডে পা রেখে আলোচনার জন্ম দেন। ৪৮ বছরের তুষার কাপুর ব্যক্তিগত জীবনে এখনো একা। ২০১৬ সালে এই অভিনেতা বাবা হওয়ার ঘোষণা দেন। বিয়ে না করেও বাবা হওয়ার খবর জানানোর পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। আইভিএফ এবং সারোগেসির মাধ্যমে পুত্রসন্তানের বাবা হন এই অভিনেতা। 

করন জোহর
বলিউডের দাপুটে পরিচালক করন জোহর। নির্মাণ ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ৫৩ বছরের করন জোহর এখনো অবিবাহিত। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জমজ সন্তানের বাবা হন করন জোহর। সারোগেসির মাধ্যমে একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি।   

সোহেল খান
সালমান খানের ভাই বলিউড অভিনেতা সোহেল খান। ১৯৯৮ সালে সীমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এ দম্পতির নির্বাণ ও ইয়োহান নামে দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১১ সালে জন্মগ্রহণ করে তাদের ছোট পুত্র ইয়োহান। তার জন্ম সারোগেসির মাধ্যমে হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কখনো কোনো তথ্য জানাননি এই অভিনেতা। 

শ্রেয়াস তালপাড়ে
বলিউড অভিনেতা শ্রেয়াস তালপাড়ে। বিয়ের ১৪ বছর পর ২০১৮ সালে সারোগেসির মাধ্যমে তার মেয়ের জন্ম হয়।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হয়েছেন যেসব অভিনেতা