অযুত-নিযুত ঘামবিন্দু ঝরিয়ে, নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে গড়ে, সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিয়েও অরাধ্য শিরোপা পাওয়া হচ্ছিল না। তিন তিনবার খুব কাছে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয়েছিল। 

শৈশবে যে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল কৈশোরে তা পূরণ হতে হতেও হয়নি। অবশেষে যৌবনে দেখা মিলল সাফল্য চূড়া। বিরাট কোহলি পেলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও পেল শিরোপার স্বাদ।

বেঙ্গালুরু ও বিরাট মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ২০০৮ সাল থেকে সমান্তরাল পথে চলছে দুজনের মিশন। গন্তব্য একটাই, আইপিএল শিরোপা। আগের ১৭ আসরে হয়নি। ১৮ বসন্তে মিলল দেখা। তাইতো ম্যাচ শেষে হওয়ার আগেই বিরাটের চোখে জল। শেষ হতে হতে নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না। 

আরো পড়ুন:

অপেক্ষার অবসান বিরাট-বেঙ্গালুরুর, প্রীতির পাঞ্জাবকে হারিয়ে জিতল আইপিএল শিরোপা

কোহলির দশম শ্রেণির মার্কশিট ভাইরাল

আবেগে ভাসলেন। কাঁদলেন। অনুভূতি প্রকাশ করলেন এই শিরোপার ওজনটা আসলেও কত বড় তার কাছে। ম্যাথু হেডেনকে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিরাট বলেছেন, ‘‘এ জয় দলের জন্য যতটা, সমর্থকদের জন্য ততটাই। দীর্ঘ ১৮ বছর কেটে গেল। এই দলকে আমি নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা বিলিয়ে দিয়েছি। প্রতি মৌসুমে এটা (আইপিএল ট্রফি) জেতার চেষ্টা করেছি, নিজের সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তের দেখা পাওয়া আমার কাছে অবিশ্বাস্য অনুভূতি।’’

‘‘এই দিনটির দেখা পাব কখনো ভাবিনি। শেষ বলটি হওয়ার পরই আবেগ ভর করেছে। এটা আমার কাছে অনেক কিছু। দলটির জন্য আমি নিজের প্রতি আউন্স শক্তির সঞ্চার করেছি। শেষ পর্যন্ত এটা জিততে পারা অসাধারণ ব্যাপার।’’ – বলতে থাকেন বিরাট। 

বেঙ্গালুরু তার কাছে শুধু একটি দল কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি নয়। এই দলটা তার হৃদয়ের খুব কাছে। চরম উত্থান-পতনের পরও হাল ছাড়েনি কেউ। নতুন করে লড়াই করেছে। দলছুট হননি কেউ।  শিরোপা অর্জনের মঞ্চে আরো একবার বেঙ্গালুরুকে নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেছেন বিরাট,  

‘‘১৮ বছর ধরে নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়েছি। এই দলটির প্রতি অনুগত থেকেছি। এমন কিছু মুহূর্ত এসেছে, যখন অন্য কিছুও ভেবেছি। তবু এই দলের সঙ্গে থেকেছি, আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। সব সময় তাদের হয়েই এটা (আইপিএল) জেতার স্বপ্ন দেখেছি।’’

‘‘অন্য কারও হয়ে জেতার চেয়ে এটা বিশেষ কিছু। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। যেটা বলেছি, এই দলটির হয়ে আমি আইপিএলে নিজের শেষ দিন পর্যন্ত খেলব। এই মুহূর্তটি (আইপিএল জয়) ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি।’’ 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ