নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের একটি তালাবদ্ধ দোকান থেকে হাত-পা বাঁধা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে দোকানটির ভেতর থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে আসছিল। বিষয়টি বাড়ির মালিক ইসলাম মিয়াকে জানানো হয়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, ‍“মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়া এলাকার ইসলাম মিয়ার বাড়ির সামনের দোকান থেকে রক্ত বের হতে দেখে ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানানো হয়। আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে দোকানের ভেতর থেকে নাম না জানা ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।” 

আরো পড়ুন:

নিখোঁজ যুবকের লাশ মিলল নিজ বাড়ির টিনের চালে 

গাইবান্ধায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধার 

তিনি আরো বলেন, “বাড়ির মালিক জানান, গত ১৯ মে ভাণ্ডারী পুল এলাকার নাম না জানা এক ব্যক্তির সঙ্গে দোকান ভাড়ার জন্য মৌখিক চুক্তি হয়। চলতি মাসের ১ তারিখ ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি আর যোগাযোগ করেনি। ওই ব্যক্তির নামও বলতে পারছেন না মালিক। আমরা তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।”

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ