দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন এই বিষয়ে আবেদন করার পর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে আবেদন করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

আবেদনে দুদক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী থাকাকালীন মোশাররফ হোসেন অবৈধ উপায়ে এবং অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, তিনি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন  ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। তিনি যদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তাহলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে। তাই তার বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ শত য গ স ব ক মন ত র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

‘শান্তির জন্য ভূখণ্ড ছাড় নয়’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে শান্তিচুক্তি করার জন্য রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেবে না তারা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের চুক্তি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা হোয়াইট হাউসে একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লন্ডনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত সোমবার তিনি এ কথা বলেন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে কয়েক দিন ধরে টানা আলোচনা হয়। তবে যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি করা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এএফপির খবরে বলা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পাঠাতে পারেন তাঁরা। ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে রাশিয়া, কিন্তু আমরা কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেব না। ইউক্রেনের আইন, সংবিধান এমনকি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। নৈতিকভাবেও আমরা এটা করতে পারি না।’

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেছেন, ইউক্রেনের সম্মুখসারির বিভিন্ন অংশে রুশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্কের কাছে অবস্থিত মিরনোহরাদকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। রাশিয়ার দাবি, তারা পোকরোভস্ক দখল করেছে। এর ফলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক—এই দুই প্রতিবেশী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুতিন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ