Prothomalo:
2025-12-14@21:31:54 GMT

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট

Published: 14th, December 2025 GMT

হঠাৎ করেই যেন আকর্ষণ বেড়ে গেল প্রথম বিভাগ ক্রিকেটের! মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন। সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে আলোকিত করল জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ও মোহাম্মদ আশরাফুলের উপস্থিতি, দুজনই এখন বিসিবিতে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বে। সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
একসময়ের প্রিমিয়ার লিগের দল ওল্ড ডিওএইচএসকে ৩৭ ওভারে ১১৪ রানে অলআউট করে দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ২২তম ওভারেই ম্যাচ জিতে গেছে ৮ উইকেটে। খেলা শেষে পুলিশ দলের ড্রেসিংরুমের সামনে টেলিভিশন ক্যামেরার সারি আর সাংবাদিকদের ছোটখাটো জটলা; যেটি সাধারণত প্রিমিয়ার লিগে বড় দলের ম্যাচ শেষেই দেখা যায়।
প্রথম বিভাগের শুরুটা মিরপুরে করে একটু জাঁকজমক ভাব আনার একটা উদ্দেশ্য ছিল বিসিবির। সিসিডিএম ২০ দল নিয়ে সূচি করলেও ৮ দলের বর্জনে এই লিগ এখন কার্যত ১২ দলের। বিদ্রোহী ক্লাব ও খেলার সুযোগ না পাওয়া ক্রিকেটাররা প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি আর বক্তব্যে লিগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। ওদিকে বিসিবির দাবি, তারা তো কাউকে বাদ দিয়ে লিগ করছে না! ক্লাবগুলোই খেলতে আসেনি। কাজেই দায় তাদের। যারা আছে, তাদের নিয়েই লিগ হবে জমজমাট।

ম্যাচ শুরুর আগে পরিচিতি–পর্ব.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা

মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।

রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।

ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।

চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটক

অধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।

‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ