গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে
Published: 14th, December 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হওয়া এ আলোচনার নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দোহায় সম্মেলনে ২৫টির বেশি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বাহিনীর নেতৃত্বের কাঠামোসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এই বাহিনী গঠনের জন্য আগামী মাসেই বিভিন্ন দেশের সেনাদের গাজায় মোতায়েন করা হতে পারে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে অনেক দেশ আন্তর্জাতিক এই বাহিনীতে অংশ নিতে ইচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এই বাহিনীর আকার, গঠনপ্রক্রিয়া, আবাসনব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ এবং তাদের কাজের নিয়মাবলি নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করছে। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা চলার কথা জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিটও।
এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় স্বাস্থ্য ও নির্মাণ-সংক্রান্ত কাজের জন্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিকো সিরাইত বলেন, ‘এটি এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ও প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে রয়েছে। যে বাহিনী মোতায়েন হবে, এখন তার গঠনপদ্ধতি প্রস্তুত করছি আমরা।
গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। বর্তমানে উপত্যকাটির ৫৩ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত বাকি এলাকায় বসবাস করছেন গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা। যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় যেসব এলাকা ইসরায়েলের দখলে রয়েছে, সেখানে আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের তামাশা
মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পাকিস্তানিরা আশা করেছিল, চীন হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে যুদ্ধে অংশ নেবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের চীন সফরে মধ্যস্থতা করে তাদের সেই আশা আরও প্রবল হয়েছিল। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধান লক্ষ্য ও শেষ পর্যন্ত প্রবল আশা ছিল, যা তারা প্রকাশ্যে দেখাচ্ছিল, তা হলো চীন শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এটি ছিল একটি তামাশা। কারণ, চীনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা সামরিকভাবে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। সব ধরনের কূটনৈতিক সহায়তা দেবে।
রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান এই মন্তব্য করেন।
ডেইলি স্টার ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় ও ব্যক্তির অবদান তুলে ধরতে ‘ইতিহাস আড্ডা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার আয়োজন করেছে। এটি ছিল সপ্তম আয়োজন। কবি ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ। অসুস্থতার কারণে আরেক আলোচক গবেষক–সাংবাদিক মঈদুল হাসান আসতে পারেননি।
চীনের তামাশা, যুক্তরাষ্ট্রের নাটকঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে যে তামাশা করছিল, সেই নাটক সাজিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যেন তারা যুদ্ধে যোগ দেয়। চীন যখন যুদ্ধে আসছিল না, তখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে পাঠানোর হুমকি দেয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের নৌবহরকে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি লক্ষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সপ্তম নৌবহর আর আসেনি। এর পরিণতিতেই নিয়াজির চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উত্থান।
‘মুক্তিযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস’ শীর্ষক ইতিহাস আড্ডায় অধ্যাপক রেহমান সোবহান। রোববার দ্য ডেইলি স্টার মিলনায়তনে