কমিটি গঠনের দুই মাসের মাথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা সদস্যসচিব জেসিনা মোর্শেদ প্রাপ্তির পদ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলা আহ্বায়ক রাশেদ খান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা কমিটি গঠন সংক্রান্ত সাংগঠনিক নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড নজরে আসে কেন্দ্রীয় কমিটির। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেসিনার পদটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির সামনে জেসিনাকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। 

তদন্ত কমিটির ৩ সদস্য হলেন- আশরেফা খাতুন, ওয়াহিদুজ্জামান ও আকরাম হোসাইন রাজ। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতা বলেন, সর্বশেষ জেসিনার বিরুদ্ধে ঝিকরগাছার কমিটি গঠন নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে যশোর জেলার ৫৮ জন নেতার সই করা একটি লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি যশোরে তদন্ত আসেন দুই কেন্দ্রীয় নেতা।

এদিকে পদ স্থগিত হওয়া সদস্যসচিব জেসিনা সাংবাদিকদের জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। যেহেতু কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে হাজির হওয়ার জন্য বলেছে তিনি সেখানে জবাব দেবেন।

গত ২৬ নভেম্বর রাশেদ খানকে আহ্বায়ক এবং জেসিনাকে সদস্যসচিব করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট যশোর জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ৯ নেতা পদত্যাগ করেন ছয় মাসের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত এ কমিটি থেকে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব র জন য কম ট র তদন ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মগডালে অজগর

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গাছের মগডাল থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার আশপাশের বাড়ি-ঘরে ঢুকে গৃহপালিত পশু-পাখি খেয়ে সাবার করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। 

বুধবার (১০ সেম্বর) বিকেলে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান রোডের পাশে গাছের মগডাল কেটে অজরটিকে উদ্ধার করেন বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল। পরে অজগরটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্বপন দেব সজল জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সিন্দুরখান রোডের একটি গাছের মগডাল পেঁচিয়ে থাকা অজগরটি নিচে রাস্তার দিকে মুখ বের করে থাকিয়ে থাকে। সেই সাথে হিস হিস শব্দ করছিল। তা পথচারীদের চোখ পড়ে। ভয়ে সবাই একত্রিত হয়ে চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। অনেকে অজগরটিকে লক্ষ্য করে গাছের ডালে ইট-পাটকেল মারেন। বিষয়টি বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল ও পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেবকে জানলে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তারা বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে গাছের মগডালে উঠে গাছের ডাল কেটে অজগরটিকে মাটিতে নামান। পরে সাপটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, অজগর সাপটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে ঢুকে গৃহপালিত পশু-পাখি খেয়ে আসছিল। এটি ধরা পড়ায় খুশি এলাকাবাসী।    

ঢাকা/আজিজ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ