আদিত্য ধরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই চলছে আলোচনা। ট্রেলারটি যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই আলাদা করে নজর কেড়েছেন সিনেমাটির অভিনেত্রী সারা অর্জুন। কিছুদিন আগেই তাঁকে কেউ চিনত না, সেই সারাই এখন আলোচনায়। কে এই অভিনেত্রী?

কীভাবে নির্বাচিত হলেন সারা অর্জুন
সম্প্রতি ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিচালক আদিত্য ধর জানান সারা অর্জুনকে ছবিতে নেওয়ার পেছনের গল্প। তিনি বলেন, কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরা প্রায় ১ হাজার ৩০০টি অডিশন নিয়েছিলেন। আর শেষে সারা অর্জুনকেই বেছে নেওয়া হয়।
আদিত্য ধর বলেন, ‘মুকেশ প্রায় ১ হাজার ৩০০টি অডিশন নিয়েছিলেন। সারা অর্জুনই শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হয়। সে অসাধারণ, সবার মধ্যে সেরা।’

কে এই সারা
১৮ জুন ২০০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন সারা অর্জুন। তিনি অভিনেতা রাজ অর্জুনের মেয়ে, যিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রজেক্টে অভিনয় করেছেন।
মাত্র ১৮ মাস বয়সে তিনি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু করেন। পাঁচ বছর বয়সেই তিনি ভারতের অন্যতম পরিচিত শিশুশিল্পী হয়ে ওঠেন। এ সময়ে তিনি শতাধিক বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন।

সারা অর্জুন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অর জ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মেসির ১৩০০

ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি অনন্য রেকর্ড নিজের করে নিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন জাদুকর হয়ে উঠলেন ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার, যার গোল-অবদান পৌঁছেছে ১৩০০ তে। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে এখন তার মোট গোল ৮৯৬, আর অ্যাসিস্ট ৪০৪। এক অবিশ্বাস্য অর্জন, যার ধারে-কাছেও কেউ নেই।

এই মাইলফলক স্পর্শ করে মেসি ইন্টার মায়ামিকে প্রথমবারের মতো নিয়ে গেলেন এমএলএস কাপ ফাইনালে। ইস্টার্ন কনফারেন্স সেমিফাইনালে তারা দারুণ ফুটবল উপহার দিয়ে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় এফসি সিনসিনাটিকে।

আরো পড়ুন:

সাকিবকে ছাড়িয়ে উইকেট শৃঙ্গে তাইজুল

শততম টেস্ট: সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে পন্টিংয়ের পাশে মুশফিকুর

বিশ্বকাপজয়ী মেসি ম্যাচে নিজে এক গোল করার পাশাপাশি ভূমিকায় ছিলেন বাকি তিন গোলের পেছনে। তার নিখুঁত পাসিংয়ে বারবার ভেঙে পড়ে সিনসিনাটির রক্ষণ। তার দারুণ নির্মাণশৈলীর সুবাদে তাদেও আলেন্দে জোড়া গোল করেন, আর পুরো ম্যাচেই মায়ামি ছিল একচ্ছত্র আধিপত্যে।

বল দখলে সামান্য এগিয়ে থাকা ইন্টার মায়ামি (৫১%) ম্যাচের ১৯তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। মাতেও সিলভেত্তির ক্রস মেসির কাছে পৌঁছাতেই তিনি সময় নষ্ট না করে বল ঠেলে দেন জালে।

সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিল সিনসিনাটি। এভান্ডারের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। কেভিন দেনকি কিছুটা চাপও তৈরি করেছিলেন। তবু গোলের দেখা মেলেনি প্রথমার্ধে।

দ্বিতীয়ার্ধে পুরো ম্যাচটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় মায়ামি। ৫৭তম মিনিটে সিলভেত্তির দুর্দান্ত কার্লিং শটে দ্বিতীয় গোলের অ্যাসিস্টও আসে মেসির পা থেকে।

এরপর তাদেওর সময়। ৬২ ও ৭৪ মিনিটে জোড়া গোল করে তিনি ম্যাচটিকে একতরফা বানিয়ে দেন। নিজের অর্ধ থেকে বল কেটে নিয়ে তিনটি টাচের পর তাদেওকে চমৎকার পাসে প্রথম গোল উপহার দেন মেসি। এরপর ৭৪ মিনিটে আবারও তার নিখুঁত অ্যাসিস্টে তাদেও নিশ্চিত করেন বড় জয়।

এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচে মেসির গোল ২৯, অ্যাসিস্ট ১৯। ২০২৩ সালে যোগ দেওয়ার পর ইন্টার মায়ামির হয়ে মোট ৫৩ ম্যাচে তার গোল ৫০ এবং অ্যাসিস্ট ৩৫।

ইন্টার মায়ামি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পৌঁছে গেছে ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনালে। যেখানে ২৯ নভেম্বর তাদের প্রতিপক্ষ নিউ ইয়র্ক এফসি।

মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্বে ঢুকতেই দলের প্রতি মেসির প্রভাব আরও বেড়েছে- পরিসংখ্যানেও, খেলায়ও। আর ১৩০০ গোল-অবদান স্পর্শ করেও থামার কোনো লক্ষণ নেই এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। সামনে আরও শিরোপা, আরও রেকর্ড যেন তাকেই ডাকছে। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসির ১৩০০