বেক্সিমকোর আরও চারটি কারখানা লে–অফ
Published: 5th, February 2025 GMT
বেক্সিমকো গোষ্ঠীর চারটি শাখা কারখানা লে-অফ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি এসব কারখানার উৎপাদন বন্ধ ও শ্রমিকদের ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, গাজীপুরের কাশিমপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ইয়ার্ন ইউনিট-২, টেক্সটাইল, ডেনিম ও নিটিং বিভাগ বন্ধ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে গোষ্ঠীর অন্যান্য বিভাগ, যেমন রূপগঞ্জের ইয়ার্ন ইউনিট-১-এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বেক্সিমকো গোষ্ঠীর কারখানা পরিচালনা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে কয়েকটি কারখানা লে–অফ করা হয়েছে। এসব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন–সংগ্রাম করছেন। পরিস্থিতি এতটা নাজুক হয়ে পড়ে যে সরকার বেক্সিমকো গোষ্ঠীর কারখানা পরিচালনায় পৃথক কমিটি গঠন করে।
সেই কমিটির অন্যতম সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.
বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস খাতের ১৬ কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কীভাবে ২৮ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, তা তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেও বলে জানান শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ তদন্ত করা হবে। বের করা হবে কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আগেও বেক্সিমকোর কয়েকটি কারখানা লে-অফ করা হয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, বেক্সিমকো শিল্প পার্কের লে-অফে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে ১২টি। আরও সিদ্ধান্ত হয়, তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকের বন্ধকি শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল আরও চারটি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।
আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগেএ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।
সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।
আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে