ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মদপানে তিন যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুদ (৩৭) নামের এক যুবক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে এবং সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের মদিপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মদিপাড়া গ্রামের আ.
বৃহস্পতিবার দুপুরে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন মাসুদ মৃত নিজাম উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার ইব্রাহীমপুর থেকে তার খালাত ভাই মৃত আ. জলিলের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের মদিপাড়া এলাকায় বেড়াতে আসে। এ সময় সে একটি হুইস্কি জাতীয় মদের বোতল সঙ্গে নিয়ে আসে। রাতে জলিলের ঘরে বসে ৪-৫ বন্ধু মিলে এই মদ পান করলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দিনভর তারা বমি করতে থাকলে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে পরিবারের লোকেরা বিষয়টি টের পেয়ে বুধবার রাতে জলিল, নিজাম ও মাসুদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাত ৪টার দিকে জলিল ও নিজাম মারা যায়।
এ ঘটনায় অসুস্থ সুমন মিয়া নামের আরও একজন গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইমতিয়াজ হোসাইন। তিনি জানান, হাসপাতালে সুমন মিয়া নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মদপ ন ম ত য মদপ ন ময়মনস হ ও উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নান্দাইলে বাস-ইজিবাইক স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর বাজার বাসস্ট্যান্ড ও সেখানে থাকা ইজিবাইক স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কানুরামপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সেখানে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
নান্দাইলের কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর একটি কোলাহলপূর্ণ এলাকা। বাসস্ট্যান্ড ও সড়কের ওপর ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত রিকশার স্ট্যান্ড থাকায় সেখানে সর্বক্ষণ যানজট লেগে থাকে। এছাড়া সম্প্রতি ঘোষিত জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড রোড কমিটি নিয়ে কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডের দুইপাশে থাকা পালাহার ও দত্তপুর দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দু’পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একপক্ষ অপর পক্ষকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চালাতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের উপর নির্বিচারে নিক্ষেপ করে। এতে দুই পক্ষের ৬ জন আহত হয়। সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কের দুই দিক থেকে আসা যানবাহনের তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম ঘটনাস্থল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে কানুরামপুর বাজারে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় গত বুধবার ময়মনসিংহ জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ূব আলী নান্দাইল উপজেলার কানুরামপুর রোড পরিবহন পরিচালনার জন্য ২৯ সদস্যের একটি কমিটি অনুমোদন দেন। এতে স্থানীয় ১০ জনকে উপদেষ্টা, জাকিয়ারা হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক, আসাদুজ্জামান তারা, আলমগীর হোসেন, শফিক মিয়া ও আবু ফজলকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং পাঁচজনকে কর্মকর্তা ও নয়জনকে সদস্য করা হয়।
কিন্তু উক্ত কমিটি গঠনের পর থেকেই কানুরামপুর এলাকার উত্তর পালাহার ও দত্তপুর ওই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট জাহিদের নেতৃত্বে আরও একটি টহল টিম ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বর্তমানে সেখানে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।