নারায়ণগঞ্জের সেই গডফাদার কোথায়: জামায়াত আমির
Published: 7th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত-সমালোচিত আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কোথায়? যিনি আমাদের একজন আমিরকে বলেছিলেন তার প্রবেশ নিষেধ। সাইনবোর্ডও টানিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন পালিয়ে গেলেও তারা দেশকে ‘অস্থির’ করতে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ এইসব সহ্য করবে না। উস্কানির কারণে যে পরিবশে সৃষ্টি হবে তার দায় নিতে হবে উস্কানিদাতাদের।
আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ইসদাইরে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামী এ সমাবেশ আয়োজন করে।
হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনসভা শুরু হয় সকাল ৯টায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান অতিথি বক্তব্য শুরু করেন।
এ সময় ডা.
তিনি বলেন, অহংকার ভালো জিনিস নয়। দম্ভ, অহংকার, ক্ষমতার জোরে ছড়ি ঘোরানো, মানুষকে খুন, সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিতে নাই। এই কাজগুলো যারা করেন, তারা দুনিয়াতেই করুণ পরিণতির একটি অংশ ভোগ করেন এবং আখিরাতেও বিচারের দিন তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শূলে চড়াবেন। সুতরাং দাম্ভিকতা অহংকার পরিহার করুন। তওবা করুন, আগে মানুষ হন, তারপর মুমিন হন।
আওয়ামী লীগ ‘সুকৌশলে’ ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করে রেখেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘অস্থিরতা’ তৈরির পেছনেও আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন ডা. শফিকুর।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ ম য় ত আম র শ ম ম ওসম ন আওয় ম ল গ জ ম য় ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ র গডফ দ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।