ঘোড়াঘাটে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কাটল পুত্রবধূ
Published: 9th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ব্লেড দিয়ে শ্বশুরের গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূ ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিহারিমপুর গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় রাতেই ওই গৃহবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।
গুরুতর আহত শাহ জামাল প্রামাণিক (৬৫) বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের বিরাহীমপুর গুচ্ছ গ্রাম এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হক।
ছেলের বউ ফাতেমা বেগম বলেন, “১৫ বছর আগে মনির প্রামাণিকের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে একই ইউনিয়নের বারোপাইকার গড় এলাকায় তিন সন্তান নিয়ে স্বামীর বসতবাড়িতে বসবাস করছিলাম। আমার স্বামী পেশায় একজন শ্রমিক। সেখানে থাকা অবস্থায় স্বামী প্রায় দুই-তিন লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দুই মাস আগে আমার স্বামী সেই বাড়ি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেন। পরে থাকার জায়গা না থাকায় শ্বশুর তার নিজের বাড়িতে আমাদের নিয়ে আসেন এবং রান্না ঘরের এক পাশে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।”
তিনি আরো বলেন, “সে সময় থেকে আমার স্বামী তিন সন্তানসহ আমাকে রেখে কাজের জন্য অন্য জেলায় চলে যান। তার কিছুদিন পর থেকে শ্বশুর- শাশুড়ির সাথে থাকার জায়গা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হতো এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলতেন। প্রায়ই আমার সাথে অনৈতিক কাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতো। সাত দিন আগে আমার স্বামী মনির বাড়ি ফিরে আসেন। এ নিয়ে গত তিনদিন ধরে অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। গতকাল শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শ্বশুর শাহজামাল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর আমাকে টেনে শোবার ঘরে নিয়ে যায় এবং অনৈতিক কাজ করার চেষ্টা করে। সেসময় আগে থেকে নিজের কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে শ্বশুর শাহজামালের পুরুষাঙ্গ কেটে দিই।”
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসান হাবীব বলেন, “শনিবার রাত পৌনে ১০টায় আহত শাহজামাল প্রামাণিককে তার পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার পুরুষাঙ্গের গোড়ার দিকের প্রায় ৪ সেন্টিমিটার অংশ কেটে গেছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পুরুষাঙ্গে আটটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তিনি এখন পর্যবেক্ষণে আছেন।”
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, “ঘোড়াঘাট উপজেলার বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় শাহজামাল প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত শাহজামাল প্রামাণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহজামাল প্রামাণিকের ছেলের স্ত্রীকে থানায় নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানা কোন অভিযোগ হয়নি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ য কমপ ল ক স আম র স ব ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫