সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিন গাজীপুর মহানগরের ৮টি থানায় ৭৯ জনকে ও গাজীপুর জেলায় সাবেক এমপিসহ ৫ থানায় ২১ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো.

যাবের সাদেক।

তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিনে রোববার দিবাগত রাতে গাজীপুর জেলার ৫টি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২১ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রীপুর থানায় সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামসহ ৫ জন, কাপাসিয়া থানায় ৩ জন, কালিগঞ্জ থানায় ৪ জন, কালিয়াকৈর থানায় ৩ জন ও জয়দেবপুর থানায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গাজীপুর মহানগরের ৮টি থানায় অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় দিন ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে টঙ্গী পূর্ব থানায় ১১ জন, টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৬ জন, পুবাইল থানায় ৫ জনসহ মোট ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে অপারেশন ডেভিল হান্টে দুদিনে ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ