ফতুল্লার পাগলায় গাড়ী ব্যবসায়ীকে  অপহরনকালে তিন অপহরনকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। এসময় অপহরনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ফতুল্লা থানার পাগলা বাজার ওয়ালটন শোরুম গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলো- প্রাইভেটকার চালক ঢাকার দক্ষিণমুগদা ওয়াবদা গলির ৬/এ মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র প্রাইভেটকার চালক শাহাদাত (৪৬), ফতুল্লা থানার পঞ্চবটীর সেলিমের পুত্র হাসান(১৫) ও একই থানার দাপা ইদ্রাকপুরের মো শাহালমের পুত্র শাহরুখ(১৬)।

জানা যায়, পাগলা মুন্সিখোলাস্থ গাড়ী ব্যবসায়ী সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক সাহাবুদ্দিন মোল্লা নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত বারোটার দিকে পায়ে হেটে পাগলা বাজার আসে।

নদীর ঐ পাড়স্থ  পানঁগায়ে তার নিজ বাসায় যাওয়ার জন্য পাগলা ওয়ালটন গলি দিয়ে খেয়াঘাটের দিকে যাওয়ার সময় প্রাইভেট কারের সামনে যাওয়ামাত্র ৫-৭ জন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাহাবুদ্দিন মোল্লার সাথে থাকা তিন লাখ টাকা লুটে নিয়ে তাকে টেনে হিচড়ে প্রাইভেট কারে গাড়ীতে তোলার চেস্টা করে।

এসময় তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে প্রাইভেট কার চালক সহ তিনজনকে আটক করে ফেলে। তবে অপর দু-তিন জন লুটে নেওয়া তিন লাখ টাকা সহ অস্ত্র উচিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে দ্রূত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া অপরাধীদের গ্রেফতারের চেস্টা করছে পুলিশ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপহরণ

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২