মোবাইল সাংবাদিকতায় ডিআরইউ সদস্যদের পিআইবি প্রশিক্ষণ
Published: 13th, February 2025 GMT
পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্যদের মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি)।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ডিআরইউর ৩৫ জন সদস্য অংশ নেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ছিল প্রশিক্ষণের সমাপনী দিন। রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের পিআইবিতে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পারভীন সুলতানা রাব্বী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) তথ্য, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন।
সোমবার প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
তিনদিনের এই কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের তথ্য প্রযুক্তির উকৎর্ষতার যুগে মোবাইল সাংবাদিকতা করার নানা দিক নিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ও বক্তারা বলেন, “আগামী দিনে সাংবাদিকতায় টিকে থাকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর দক্ষ হতে হবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল সাংবাদিকতার ওপর প্রশিক্ষণ থেকে পাওয়া জ্ঞান যারা বাস্তব অর্থে কাজে লাগাতে পারবেন তারা ভালো করবেন।”
তারা বলেন, “অন্য পেশার মানুষ কিংবা সাধারণ মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে এবং সাংবাদিকদের মধ্যে পার্থক্য আছে। তারা চাইলেই যে কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন না। বর্তমানে লেখা, ছবি এবং ভিডিওর সত্যতা যাচাই করার নানা ধরণের উপায় আছে। সাংবাদিকদের সেসব জায়গা থেকে পরীক্ষা করে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। অন্যথায় গ্রহণযোগ্যতা হারাবে গণমাধ্যম।”
ঢাকা/এনটি/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ কত প আইব
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।