ভালোবাসার জন্য দুটি বিষয় থাকতে হয়: প্রভা
Published: 14th, February 2025 GMT
দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ধরে টেলিভিশন ও ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করছেন সাদিয়া জাহান প্রভা। মাঝে ছিলেন বিরতিতে। বিরতির সময়টা কাটিয়েছেন দেশ-বিদেশে। কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মনোযোগী হচ্ছেন নিজের কাজে। ভালোবাসা দিবসের আগে দিবসটি নিয়ে কথা বলেন প্রভা।
প্রকৃত ভালোবাসার জন্য দুটি জিনিস বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রভা। প্রভা বলেন, ‘ভালোবাসার সজ্ঞায়ন করা খুব কঠিন। এটা অনুভবের বিষয়। মুখে বলে বোঝানোর বিষয় নয়। তবে আমার জায়গা থেকে বলব, যাকে আমি ভালোবাসবো তাদের জন্য দুইটি বিষয় থাকতে হবে। প্রথমত, পর্যাপ্ত সম্মান। দ্বিতীয়তটা হল বিশ্বাস।’
ভালোবাসা দিবস ও ফাল্গুন নিয়ে প্রভা বললেন, ‘যখন ভালোবাসা দিবস পালন করতে ইচ্ছে করে, তখন করি। আবার যখন ফাল্গুন পালন করতে ইচ্ছে করে, তখন ফাল্গুন। বাংলা একাডেমি যেটা করেছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি (পয়লা ফাল্গুন) আর ১৪ ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবস) এক করে ফেলেছে। বাকিটা আপনার সিদ্ধান্ত, আপনি কোনটা বেছে নেবেন!’
এখন ভালোবাসা দিবসের চেয়ে ফাল্গুন নিয়ে বেশি পরিকল্পনা থাকে প্রভার। কারণ, লালের চেয়ে তাকে বাসন্তী রঙ বেশি টানে।
প্রভা ভাষ্য, ‘আমার প্ল্যান শুধু ফাল্গুন নিয়ে। আমি খুশি যে, ভালোবাসা দিবস আর ফাল্গুন একই দিনে। কারণ, লালের চেয়ে আমার বাসন্তী রঙ বেশি পছন্দ।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখান করে বাহা’কে বয়কট ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশন (বাহা) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি অনুষদের যৌথ বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন অনুষদটির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে চলমান যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের শিক্ষার্থীদের কতিপয় বিপথগামী বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিকেলে অনুষদীয় চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাহা’কে বয়কট ঘোষণা করেন।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বাকৃবি শিক্ষক কমপ্লেক্সে বাহা’র নেতৃবৃন্দ ও অনুষদের ডিনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্লাস-পরীক্ষাসহ অনুষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ তুলে মতামত দেন।
আরো পড়ুন:
গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫
ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়
আলোচনা সভা শেষে বাহা ও ওই অনুষদ একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এহেন কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এই কার্যক্রমে অনুষদের সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নেই। অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি প্রফেশনকে নিশ্চিহ্ন ও হেয় করতে একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় কতিপয় বিপথগামী শিক্ষার্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপচেষ্টায় লিপ্ত।
বিবৃতিতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয় এবং প্রফেশনের বিরাজমান সমস্যাগুলো সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজকের সমাবেশে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল হাসবেন্ড্রি অ্যাসোসিয়েশনকে বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে। আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শিবলী বলেন, “আমরা পশুপালন অনুষদের বিভিন্ন লেভেলের কয়েক’শ গত ১ সপ্তাহ ধরে আমাদের যৌক্তিক দাবি কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করলে যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদগামী বলে সম্বোধন করছেন, তাদের আমরা এ অনুষদ চত্বর থেকে লালকার্ড দেখাই। কোনো বিবৃতি বা হুমকি দিয়ে এই যৌক্তিক আন্দোলনকে থামানো যাবে না।”
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী হিমেল বলেন, “বাকৃবিতে চলমান যৌক্তিক কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাহা’র মহাসচিব ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও, তার পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিপথগামী বলা হয়। এছাড়া আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনকে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর আন্দোলন হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা করা হয়, যা মিথ্যা, অপমানজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী