দীর্ঘ দেড় যুগের বেশি সময় ধরে টেলিভিশন ও ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় করছেন সাদিয়া জাহান প্রভা। মাঝে ছিলেন বিরতিতে। বিরতির সময়টা কাটিয়েছেন দেশ-বিদেশে। কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মনোযোগী হচ্ছেন নিজের কাজে। ভালোবাসা দিবসের আগে দিবসটি নিয়ে কথা বলেন প্রভা।

প্রকৃত ভালোবাসার জন্য দুটি জিনিস বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রভা। প্রভা বলেন, ‘ভালোবাসার সজ্ঞায়ন করা খুব কঠিন। এটা অনুভবের বিষয়। মুখে বলে বোঝানোর বিষয় নয়। তবে আমার জায়গা থেকে বলব, যাকে আমি ভালোবাসবো তাদের জন্য দুইটি বিষয় থাকতে হবে। প্রথমত, পর্যাপ্ত সম্মান। দ্বিতীয়তটা হল বিশ্বাস।’

ভালোবাসা দিবস ও ফাল্গুন নিয়ে প্রভা বললেন, ‘যখন ভালোবাসা দিবস পালন করতে ইচ্ছে করে, তখন করি। আবার যখন ফাল্গুন পালন করতে ইচ্ছে করে, তখন ফাল্গুন। বাংলা একাডেমি যেটা করেছে, ১৩ ফেব্রুয়ারি (পয়লা ফাল্গুন) আর ১৪ ফেব্রুয়ারি (ভালোবাসা দিবস) এক করে ফেলেছে। বাকিটা আপনার সিদ্ধান্ত, আপনি কোনটা বেছে নেবেন!’

এখন ভালোবাসা দিবসের চেয়ে ফাল্গুন নিয়ে বেশি পরিকল্পনা থাকে প্রভার। কারণ, লালের চেয়ে তাকে বাসন্তী রঙ বেশি টানে।

প্রভা ভাষ্য, ‘আমার প্ল্যান শুধু ফাল্গুন নিয়ে। আমি খুশি যে, ভালোবাসা দিবস আর ফাল্গুন একই দিনে। কারণ, লালের চেয়ে আমার বাসন্তী রঙ বেশি পছন্দ।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ