ট্রাম্প ও পুতিন কেন সামরিক ঘাঁটিতে বৈঠকে বসছেন
Published: 15th, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বৈঠক হবে একটি সামরিক ঘাঁটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ‘জয়েন্ট বেস এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন’-কে এ বৈঠকের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত একটায়) বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা।
‘জয়েন্ট বেস এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন’ আলাস্কার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের হামলার আশঙ্কা মোকাবিলায় আকাশ প্রতিরক্ষাকেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় কমান্ড পয়েন্ট হিসেবে ঘাঁটিটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাজনিত শর্তাবলি পূরণ হওয়ায় এ ঘাঁটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১৯ সালে ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, এখানকার সেনারা ‘আমাদের দেশের শেষ সীমানায় আমেরিকার প্রতিরক্ষার সম্মুখভাগে’ দায়িত্ব পালন করছেন।
৬৪ হাজার একর আয়তনের এই ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর আর্কটিক অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি প্রধান কেন্দ্র। ১৯৫৭ সালে ঘাঁটিটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় অবস্থায় ছিল। সে সময় এখানে ২০০টি যুদ্ধবিমান, একাধিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র ও সতর্কীকরণের জন্য রাডার সিস্টেম মোতায়েন ছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শুভ জন্মাষ্টমী আজ
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথি শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
সনাতন ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আজ সকাল আটটায় দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞ, বেলা তিনটায় ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি জানিয়েছে, রাজধানীর পলাশীর মোড়ে আজ বেলা তিনটায় কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান।