গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই: মির্জা ফখরুল
Published: 17th, February 2025 GMT
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। রোববার ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গন এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি। আমাদের দেশ একটা ভয়ংকর সময় পার করে এসেছে। প্রায় ১৫ বছর একটা পাথর আমাদের বুকের মধ্যে চেপে ছিল। সেই পাথর আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে দানবের মতো ধ্বংস করে দিয়েছে। এই খেলার মাঠগুলোকেও ধ্বংস করে ফেলেছিল। এই মাঠে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।’
তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-তরুণরা যেভাবে একটা অভ্যুত্থান সংঘটিত করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল, এই সুযোগটা যেন আমরা গ্রহণ করি। শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, আমরা খেলাধুলা, সংস্কৃতি, সামাজিক জীবন, শিক্ষা– সব ক্ষেত্রে যেন একটা নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাই।
ফুটবলে আমিনুল ও সাব্বিরের ভক্ত ছিলেন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা যখন খেলতেন, তখন মাঠে অসংখ্য দর্শক ছিল। কিন্তু আজ ফুটবলে দর্শক কমে গেছে। ফুটবল বাংলাদেশের খেলা, মানুষের খেলা। এই ফুটবলকে আবার জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। আমিনুল (ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক) সারাদেশে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন শুরু করেছেন। এটা খুবই সুন্দর ব্যাপার, একটা রাজনৈতিক দল ক্রীড়াঙ্গনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ জন্য তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাতে চান। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় আমিনুল সারাদেশে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমিনুল হক, ফুটবলার রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের আট জেলা বিএনপির ফুটবল দল অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপি দল। খেলায় টাইব্রেকারে পঞ্চগড় বিএনপিকে হারিয়ে জয়ী হয় দিনাজপুর বিএনপি। উদ্বোধনের আগে স্থানীয় শিল্পীদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ ফ টবল ট র ন ম ন ট ব এনপ র আম দ র আম ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।
এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা?
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।