কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধানসহ ৩ নেতাকর্মী রিমান্ডে
Published: 17th, February 2025 GMT
বন্দরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধানসহ ৩ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই জলিল মন্ডল ধৃতদের ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যার মামলা নং- ১১(৯)২৪।
এর আগে গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলো বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং মাধবপাশা এলাকার মৃত হারেজ আলী প্রধানের ছেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টি সহ সভাপতি হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান (৬২) বন্দর থানার নূরবাগ এলাকার নূর মাষ্টার মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা খোকন (৫০) ও মদনপুর বড়সাহেব বাড়ী এলাকার মৃত জসিম ভূঁইয়া ছেলে ঢাকা জেলার শ্রমিকলীগ নেতা আলী আজগর ভূঁইয়া (৩৮)।
এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টম্বর) রাতে বন্দরের বেপারীপাড়া এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দরে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি ৫৯৭ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরোও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সাবেক এমপি সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের নির্দেশে ছাত্র জনতার উপর হামলা চালানোর অপরাধে ওসমান পরিবারের দোসর দেলোয়ার প্রধানসহ উল্লেখিত ৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য় এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল