কুমিল্লায় ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার জিংগলাতলী থেকে আমিরাবাদ স্টেশন পর্যন্ত তিন কিলোমিটারের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। আরেকটি যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ইসহাক চৌধুরী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোরে মহাসড়কে কুয়াশার কারণে সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাস একটার সঙ্গে আরেকটার ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া হলো না শাকিবের

সাভারে বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আফসার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রেকার নিয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর থেকে এখন আর সমস্যা হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে পায়নি। 

ঢাকা/রুবেল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় ঠেলাগাড়ির শ্রমিক নিহত

রাজধানীর চকবাজারে প্রিজন ট্রাকের ধাক্কায় সোহাগ হাওলাদার (৩০) নামের ঠেলাগাড়ির এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে চকবাজারের নাজিমুদ্দিন রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে কারা সদর দপ্তরের দিকে যাচ্ছিল ট্রাকটি। ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন মনসুর নামের এক চালক। নাজিমুদ্দিন রোডে পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

সোহাগের সহকর্মীরা বলেন, দুপুরে আগামাছি লেন থেকে তাঁরা চারজন মিলে ঠেলাগাড়িতে ইট বহন করে নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। নাজিমুদ্দিন রোডের বড় মসজিদের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির একটি প্রিজন ট্রাক ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে সোহাগকে উদ্ধার করে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোহাগের সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী ট্রাক ও চালককে আটক করেছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সোহাগের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

নিহত সোহাগের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। বাবার নাম দুলাল হাওলাদার। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সোহাগ কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় থাকতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ